পুকুর খুঁড়তে গিয়ে মৌর্য যুগের পেঁয়াজের খনি পেয়ে কোটিপতি পেয়াজু বেগম

৬৬৮ পঠিত ... ১৬:৩২, নভেম্বর ১৮, ২০১৯

এক কোপেই কোটিপতি হলেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজু বেগম। ঘটনাটি গতকাল সকালের। সকালটা একটু বাজেভাবেই শুরু হয়েছিলো পেঁয়াজু বেগমের। বাসায় পেঁয়াজ নেই দুই সপ্তাহ। পেঁয়াজের সংকট কাটাতে বাড়ির উঠোনে একটা পুকুর কাটার কাজও শুরু করেছেন। এই পুকুরে মাছ চাষ করবেন, এরপর সেই মাছ বিক্রি করে পেঁয়াজ কিনে সেই পেয়াজে কড়মড় করে পরম তৃপ্তিতে কামড় বসাবেন। কিন্তু প্রতিদিন পেঁয়াজ ছাড়া ডিমভাজি করে পান্তা ভাত দেয়ার অভিযোগে কাল সকালেই পুকুর কাটার লোকেরা অর্ধক পুকুর কেটেই চলে যায়। চলে যাওয়াটা সবার জন্য কাল হলেও পেয়াজু বেগমের জন্য ছিলো সুখকাল।

পুকুর কাটার লোকেরা চলে যাওয়ার পর আগত্য নিজেই কোদাল নিয়ে পুকুর কাটতে নেমে গেলেন। বাঁচতে তো হবে! যত কষ্টই হোক সামনের দিনগুলোয় অন্তত পেঁয়াজে-ডিমে খেয়ে-পরেই দুনিয়াটা ছাড়তে চান তিনি।

কোদাল দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে একটা কোপ দিলেন। ঠক করে কেমন একটা আওয়াজ হলো। কোদাল ভেঙে গেছে ভেবে মাটি সরিয়ে দেখেন একটা ছোট ছিদ্র থেকে উজ্জল লালচে একটা আভা বের হয়ে আসতেছে। আরেকটু ফাঁক করে পেয়াজু বেগমের চোখ পুরাই পেঁয়াজবড়া। নিচে মনে হচ্ছে একটা স্বর্গ। আরো একটু মাটি সরিয়ে তিনি নিচেই ঢুকেই গেলেন। ঢুকেই এক দফা বেহুশ হয়ে নিলেন। চারপাশে পেঁয়াজ ছড়াছড়ি করছে, এই বিশাল গুপ্ত মহলের দেয়ালগুলোও পেঁয়াজ রংয়ের, এক সুড়ঙ্গ থেকে বেশ এদিক সেদিক অনেকগুলো সুড়ঙ্গ চলে গেছে, সেখানে যতদূর চোখ যায় শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ। এত পেঁয়াজ একসাথে দেখে কেউই বা স্বাভাবিক থাকতে পারে।

কয়েকদফা বেহুশ হওয়ার পর নিজেকে সামলে যতক্ষণে উপরে উঠে এলেন ততক্ষণে এই গুপ্ত পেঁয়াজের গন্ধে সারাদেশের মানুষ এসে হাজির হয়েছেন পেঁয়াজু বেগমের উঠানে। সেখান থেকেই এক পেঁয়াজতত্ত্ববিদ জানান, 'এই অঞ্চলে আগে মৌর্যরা বসবাস করতেন। পেঁয়াজের সংকট থেকে নিজেদের উত্তরসূরিদের রক্ষা করতেই তারা এখানে পেঁয়াজ লুকিয়ে রাখতেন। পেঁয়াজের গায়ে লেগে থাকা মাটি দেখে ধারণা করা যায়, রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলেই এই পেঁয়াজের খনি নির্মাণ করা হয়। আমরা মূলত বেশ কয়েকবছর এই পেঁয়াজমহলের ব্যপারেই গবেষণা করছিলাম। এখানে যত পেঁয়াজ আছে তার দাম আসলে সংখ্যায় হিসেব করা যাবে না।'

গবেষকের এই কথা শুনে পেঁয়াজু বেগমের সাথে সাথে আমাদের প্রতিনিধিও বেহুশ হয়ে পড়ে যান।

তবে খাতুনগঞ্জ পেঁয়াজের আড়তের এক আড়তদার এসে মাটির নিচের এই পেঁয়াজ মহলের পেঁয়াজ নিজের মজুদ করা বলে দাবি করায় এলাকাবাসী তাকে ধমক-ধামক দিয়ে পেঁয়াজমহলের দারোয়ান বানিয়ে দেন।

৬৬৮ পঠিত ... ১৬:৩২, নভেম্বর ১৮, ২০১৯

Top