ইশরাক হোসেনকে ঘেরাও বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে চায় ইন্টেরিম

৩৪ পঠিত ... ১১ ঘন্টা ০ মিনিট আগে

সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় ঘেরাও করে নিজের মেয়র পদ বাগিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইশরাক হোসেন। এবার বিসিবি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ইশরাক ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে বিসিবি কার্যালয়ও ঘেরাও করবেন এবং এ লড়াইয়ে তিনি তামিম ইকবালের পক্ষেও দাঁড়িয়েছেন।   

অনেকে বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে নিলেও ইশরাক সাহেবের এই ঘেরাও বিষয়ক ট্যালেন্টকে এবার তাই কাজে লাগাতে চায় ইন্টেরিম সরকার এবং তাকে ঘেরাও বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। এ ব্যাপারে জানার পর ইশরাক বলেন, জেনে ভালো লাগল, ওনারা আমার প্রতিভার মূল্যায়ন করেছেন। আশা করি সরকারের আস্থার প্রতিদান দিতে পারব, এখন দ্রুতই আমার পদ আমাকে বুঝায়ে না দিলে আমি কালকেই সচিবালয় ঘেরাও করব। 

সরকারের অভ্যন্তরীণ সূত্র মতে, ইশরাকের তত্ত্বাবধানে একটি ‘ঘেরাও মানদণ্ড’ তৈরি করা হবে। যেকোনো জায়গা ঘেরাও করার আগে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রটোকল মেনে চলতে হবে—যেখানে প্রদত্ত প্যাকেজ অনুযায়ী ঘেরাওয়ের ধরন, সময়কাল, এবং প্রটোকল নির্ধারণ থাকবে। মুখপাত্রের ভাষায় যেহেতু দেশে মব কালচার ভালোভাবেই বিদ্যমান, এটিকে সরকারিকরণ করে টু-পাইস কামাই করা গেলে খারাপ কী? 

ঘেরাও মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য প্যাকেজগুলো নিয়ে পরিকল্পনাকারীরা ইতিমধ্যেই উন্মুক্ত তালিকা প্রকাশ করেছে—বেসিক থেকে ডিলাক্স পর্যন্ত। বেসিক প্যাকেজে থাকবে অফিসের সামনে প্রতিবাদী পোস্টধারীদের লাইন আপ; প্রিমিয়াম প্যাকেজে থাকবে চেয়ার টেবিল টেনে নিয়ে আসা এবং আমরণ অনশন; আর ডিলাক্স প্যাকেজে এসবের সাথেই অন্তর্ভুক্ত থাকবে মাইক সেটআপ এবং লাইভ ফেসবুক সেশন। 

ইশরাক সাহেবের নিজস্ব 'ঘেরাও সৈন্যদল'—যারা ইতিমধ্যেই ঘেরাওয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, তাদেরকে মন্ত্রণালয়ে স্থায়ীভাবে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এই সৈন্যদল প্রয়োজন হলেই ছুটে যাবে দেশের যেকোনো কোনে। পাবলিক ভবন থেকে শুরু করে রেলপথ বা কারও বাড়িঘর সবখানেই ঘেরাওয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসবেন এনারা।

৩৪ পঠিত ... ১১ ঘন্টা ০ মিনিট আগে

Top