বাজারে এসেছে নতুন অ্যালার্জি। জাতীয় সংগীত গাইলেই শরীর চুলকাচ্ছে অনেকের

১৯০ পঠিত ... ১৫:০৫, মে ১৪, ২০২৫

5

বাংলাদেশে গ্রীষ্মের সঙ্গে এবার এসেছে এক নতুন ধরনের অ্যালার্জি। তবে এটি গরম, ঘাম বা ধুলাবালির কারণে নয়—এই অ্যালার্জির কারণ হলো জাতীয় সংগীত। ‘আমার সোনার বাংলা…’  লাইনটি শুরু হলেই হুট করে কারও কারও গায়ে শুরু হয় তীব্র চুলকানি, মুখে বিরক্তি, চোখে পানি। কেউ কেউ আবার গানটিতে এত বেশি অ্যালার্জিক যে গান শুরু হওয়া মাত্র জার জার ওবস্তান থেকে পালিয়ে যান।

বিশেষজ্ঞরা একে বলছেন ‘দেশাত্মবোধ-ভীতি সংক্রামক চুলকানি’, যার সংক্ষিপ্ত নাম হতে পারে দভিচু সংক্রমণ। লক্ষণগুলো খুব স্পষ্ট—জাতীয় সংগীত শুরু হলেই চুলকায়, মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে এলেই গা গুলায়, শহীদের কথা উঠলেই শুরু হয় মাথা ঘোরা। এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই আবার শুধু জাতীয় সংগীত নয় ৭১ সংখ্যা দেখলেও ভয়ে আঁতকে উঠছেন। অনেকে আবার এই অ্যালার্জির কারণ খুঁজতে গিয়ে বলছেন, এটি জেনেটিক নয়, বরং আইডিওলজিক্যাল।

এই রোগে আক্রান্ত একজনের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি আমাদের বলেন, এইসব হিন্দুয়ানী গান আমাদের জাতীয় সংগীত হয় কী করে? আমাদের পাক সাফ মনে গান বাজে একটাই, সেটা গাইলে শরীরের অ্যালার্জি কমার পাশাপাশি মনও ভালো থাকে। এরপর আমাদের প্রতিবেদকের ফোনে রিংটোনে আমার সোনার বাংলা সেট থাকায় তার একটি কল আসার পর আক্রান্ত রোগী ক্ষুর দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়।   

চিকিৎসা কী? দেশের একজন বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষ-অজ্ঞ জানিয়েছেন, এই রোগের চিকিৎসা আমরা বের করেছি। প্রতিদিন তিন বেলা জাতীয় সংগীত শোনাতে হবে—যতক্ষণ না তারা মুখস্থ বলতে পারে ততদিন। সাথে প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে ৩০ মিনিট করে তথ্যচিত্র দেখতে হবে। তাতেও কাজ না হলে শহীদ মিনারে এক রাত থাকতে হবে। একেবারে মশার কামড়সহ। দেশপ্রেমে ডুবে না গেলে রোগ যাবে না। অন্যদিকে আরেক বিশেষ-অজ্ঞ বলেন, এই রোগের চিকিৎসা একটাই চুমু চুমু চুমু। এবং যে সে নয় কেবলমাত্র নির্দিষ্ট একজনের চুমুতেই কমবে এই অ্যালার্জি।

১৯০ পঠিত ... ১৫:০৫, মে ১৪, ২০২৫

Top