সকালে উঠে গা-টা ম্যাজম্যাজ করছিলো। মনটাও তেমন ভালো ছিলো না। আম্মাকে বললাম, আম্মা গরুর মাংস রান্না করো। অনেকদিন মাংস খাই না। আম্মা তখনই ছোট ভাইকে বাজারে পাঠায়ে দুই কেজি সিনার মাংস আনালেন। দুপুরে খেতে বসছি। আম্মা প্লেটে পুরো মাংসের বাটি ঢেলে দিলেন। গরম ভাত মুখে দেয়া যাচ্ছে না। ফুঁ-টু দিয়ে এক লোকমা নিলাম। মাংসে কামড় দিতে যাবো এমন সময় ফোন বাজলো। পাপনদার কল। বললো, 'ইমরুল তুমি কোথায়? দেশের তোমাকে দরকার।'
আমি মুখ থেকে মাংস নামিয়ে রেখে একপ্লেট ভাতের মধ্যেই হাত ধুয়ে ফেললাম। সবার আগে হলো দেশ। আম্মা বললেন, 'বাপ ভাত রাইখা উঠতে হয় না। ভাতে অভিশাপ দেয়।'
আমি বললাম, 'আম্মারে, আজকে দুনিয়ার কোনো অভিশাপ আমাকে ঠেকাতে পারবে না। আমার দেশ আমাকে ডাক দিয়েছে।'
বলতে বলতে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু হলো। আম্মা বললো, 'যা ইকা যা। আজ আর আমি তোকে বাধা দেব না। আমার আশীর্বাদ সবসময় তোর সাথে থাকবে।'
আমি লুঙ্গি পরা অবস্থাতেই বিমানে উঠলাম। বিমান থেকে নেমে সোজা স্টেডিয়ামে। আমার পাশের এক যাত্রী আমাকে চিনতে পেরে বললো, 'ভাই মাঠে নামার আগে একটু বিশ্রাম করে নিয়েন। কিছু মুখে দিয়েন।'
আমি বললাম, 'আমি সেদিনই বিশ্রাম শব্দ আমার ডিকশনারি থেকে মুছে দিয়েছি যেদিন প্রথম পাপনদার নেতৃত্বে আমি শপথ নেই যে বাকি জীবন...!'
[পুরো মোটিভেশনাল গল্পটাই কাল্পনিক, শুধু বিমানে পাশের যাত্রীর উপদেশটুকু ছাড়া।]
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন