দুর্গাপূজা মানেই পেট ভরে খাওয়া-দাওয়া। ভুঁড়িভোজ ছাড়া বাঙালির উৎসব অসম্পূর্ণ। পয়লা বৈশাখ থেকে দুর্গাপূজা যাই বলুন না কেন, খাবার ছাড়া বাঙালির জন্য তা অর্থহীন। ষষ্ঠী থেকে দশমী নতুন নতুন জামা কাপড়ের সঙ্গে খাবারের তালিকাটা ও আগে থেকে করাটা খুবই প্রয়োজন। আর কোন খাবার কোথায় খাবেন সেটাও ঠিক করে ফেলা জরুরী। তাই eআরকির পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য দেওয়া হলো বন্ধুদের কাছ থেকে পূজার দাওয়াত আদায় করার ১০টি নিনজা টেকনিক!
১# বন্ধুদের এই সময়ে পাঞ্জাবি ও শাড়ি গিফট করুন। চক্ষু লজ্জায় হলেও দাওয়াত দেবে।
২# আপনার বন্ধুকে ট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে পারেন, 'অনেকদিন মাসির হাতের খাবার খাই না।'
৩# পূজায় কবে বাড়ি যাচ্ছে? কাকে কাকে দাওয়াত দিয়েছে? এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন।
৪# অফিসের কলিগের সামনে গিয়ে বলুন, 'দশমির দিন কোন কাজ রাখিনি, সম্পূর্ণ ফ্রি, কে কখন দাওয়াত দেয় বলা তো যায় না!’
৫# 'বাড়ির পূজা দেখতে চাই' বলে বন্ধুর কাছে বায়না করতে শুরু করে দিন। দাওয়াত না দিয়ে যাবে কোথায়!
৬# মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত বন্ধুর সঙ্গে ঘুরুন। ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেলে সেখানেও তার পেছন ধরে চলে যান। চক্ষুলজ্জা ভুলে কষ্ট করে যান, একবেলা পূজোর খাবার না খাইয়ে কোথায় যাবে বন্ধু আপনার।
৭# মণ্ডপে ঘুরতে গিয়ে প্রসাদ খাওয়ার আগে বন্ধুকে শুনিয়ে বলুন, মিষ্টি কিছু খাওয়ার আগে তো পেটপূজা করাটা দরকার। বেগুনভাজা, পাঁচমেশালি সবজির তরকারি, চাটনি, মাটন ভুনা না খেলে যে মিষ্টি প্রসাদ হজম হবে না এমন কথাও শুনাতে ভুলবেন না।
৮# বন্ধুদের সাথে আপনার জীবনের কোন এক কালে দূর্গাপূজায় বেড়াতে যাওয়ার স্মৃতি নিয়ে আলাপ করুন। কখনো বেড়াতে না গেলেও বানিয়ে বানিয়ে আলাপ করতে পারেন। দাওয়াত পেয়ে যাবেন আশা করি।
৯# আপনার বন্ধুকে সামনের বছরের ইদের দাওয়াত দিয়ে দিন। পূজার আগে আগে ইদের মানুষ কেন দিচ্ছেন সেটি নিশ্চয়ই সে বুঝতে পারবে।
১০# এত দাওয়াতের কী আছে! পূজা দেখতে যে কোনো দিন যেকোন বন্ধুর বাসায় চলে যান। তারা নিশ্চয়ই আপনাকে ফেলে দেবে না।