শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দুর্বার আন্দোলনের মুখেও পদত্যাগ করছেন না ভিসি ফরিদ উদ্দিন। দু-সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই আন্দোলনকে অনেকটা পাশ কাটিয়ে ধৈর্য্য ও অধ্যবসায়ের এক অনন্য নজির স্থাপন করে স্বপদে বহাল আছেন এখনো। আন্দোলনে যেহেতু কাজ হচ্ছে না সেহেতু ভিন্ন কোন উপায় আছে কি না তাকে পদ ছাড়া করার-তাই ভাবতে বসেছে eআরকির গবেষক দল। দেখুন তো আপনার মাথায়ও অন্য কোন আইডিয়া আছে কিনা!
১) উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমকে ভাড়া করা যেতে পারে। ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যখন তারা সরাতে পারে, যে কোনো কিছুই পারার কথা।
২) বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রেন ‘Liebherr LTM-112000-9.1’ । সাস্টের ভিসি হিসেবে ওনার একটু স্বাস্থ্যবানই হওয়ার কথা। হয়তো সেজন্যই উনি চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারছেন না। এই ক্রেন দিয়ে যদি বা কিছু হয়!
৩) শাবিপ্রবি ভিসির বাসভবনের পানি এবং বিদুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা৷ এবার বাসাতে যেন কোনভাবে টিস্যু পেপার অথবা দৈনিক পত্রিকা ঢুকতে না পারে সেটা নিশ্চিত করলেই কাজ হয়ে যাবে।
৪) ভিসির বাসভবনের বাইরে ১২শ কোটি ১ টাকা দামের একটা মুলা ঝুলিয়ে চেষ্টা করা যেতে পারে। মুলা ওনার যা পছন্দ, কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে।
৫) ভিসির পদত্যাগের কথা না ভেবে কোনভাবে ভিসির চেয়ারটাকে বাইরে আনা যায় কি না দেখা যেতে পারে। চেয়ারের টানে বের হবেনই। এরপর চেয়ারের লোভ দেখিয়ে ওনাকে ক্যাম্পাসের বাইরে রেখে আসলেই হলো, প্রয়োজনে ওনার চেয়ারও রেখে আসা হলো।
৬) ভিসির সাথে একটা প্র্যাংক করা যেতে পারে। আন্দোলন থামিয়ে পলান টুকটুক খেলা যেতে পারে। এরপর খেলতে খেলতে কোনভাবে চেয়ার থেকে উঠাইতে পারলেই হলো। এরপর এটা প্র্যাংক ছিলো, এই যে দেখেন ক্যামেরা বলে ব্যালেন্স করতে হবে।
৭) ৩৪ ভিসির কাছ থেকে একটা ভূয়া বিবৃতি নিয়ে আসতে হবে। সেখানে থাকবে যে, ‘আমরা পদত্যাগ করেছি। আপনিও দ্রুত করে ফেলুন।‘ সবারই তো এক মূল। বাকিদের পদত্যাগের কথা শুনলে, উনি না করে আর যাবেন কোথায়?
৮) যখনই ভিসির পদত্যাগ দরকার, ঠিক তখন স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া বাঁধিয়ে দিন। বাসা থেকে বিরক্ত হয়ে বের হয়ে যাবার জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর হতে পারে না।
৯) হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো কাউকে এনে চেষ্টা করা যেতে পারে।
১০) লেগে থাকুন। হাল ছাড়বেন না। কিছু না পেলে ১-৯ পর্যন্তই বারবার অনুসরণ করুন!