কোয়ারেন্টাইনে আপনার বাসার দুষ্টু বাচ্চাকে সামলানোর ১০টি শান্তশিষ্ট উপায়

৮৮০ পঠিত ... ১০:৫১, এপ্রিল ২৩, ২০২০

করোনায় পরিবেশ দূষণ কম হওয়ায় অনেক কিছুই ফিরে ফিরে আসছে। এই কারণেই বুঝি যে বাচ্চাদের কম্পিউটার গেমস আর ট্যাবের কারণে বাইরে ঠেলেও খেলতে পাঠানো যেতো না, তারাও বাইরে খেলতে যেতে চাইছে। আবার বাচ্চারা সারাদিন ঘরবন্দি থাকাও তো আরেক বিপদ, কারণ আপনিও ঘরবন্দি! দুষ্টামি-ত্যাদড়ামি যাই করুক, চুপচাপ সহ্য করে যেতে হবে। সারাদিন বাসায় থাকার কারণে তাদের দুষ্টুমিও বেড়ে গেছে অনেক! তাই সেইসব 'কিউট' বাচ্চাদের সামলানোর জন্যই আমাদের এইসব অব্যর্থ টিপস (কত প্যারা খায়া যে এইসব ভাবা লাগে, বুঝেন?)...

১# বাসায় দাদা-দাদী, নানা-নানী থাকলে তাঁরা যেন কোন অজুহাতেই বাইরে বের হতে না পারেন, সেজন্য বাচ্চাদের স্পাই হিসেবে নিয়োগ দিন। বাচ্চারাও এই কাজে ব্যস্ত থাকবে, বয়স্কদের উপরও চোখ রাখা যাবে। এক ঢিলে দুই পাখি!

২# ভেবেচিন্তে বের করুন, বাসার কোন জিনিসটা কয়েকদিন যাবত পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর ট্রেজার হান্ট গেম ঘোষণা করুন। বাচ্চা জিনিস খোঁজাতেই ব্যস্ত থাকবে। পেয়ে গেলে তো সোনায় সোহাগা, না পেলেও বাচ্চা দুষ্টুমি করার আর সময় পাবে না। আর বেশি দ্রুত খুঁজে পেয়ে গেলে, নতুন কিছু লুকিয়ে ফেলে আবার গেম চালু করে দিন...

৩# বাচ্চাকে ঢিলা ইলাস্টিকের প্যান্ট পরিয়ে দিন। দুষ্টুমি করবে কী, সারাদিন প্যান্ট সামলেই কূল পাবে না!

৪# এয়ারটেলের ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইউটিউবে কার্টুন দেখতে দিন। দেখবেন ল্যাপটপ বা মোবাইল নিয়ে বসেই আছে বসেই আছে, বাফারিং হইতে হইতে সারাদিন ধরে কার্টুনের এক এপিসোড দেখা হবে...

৫# ন্যাড়া হবার দেশব্যাপী যে ট্রেন্ড চলছে, তাতে বাচ্চাকেও সামিল করুন। আপনার লাজ-লজ্জা যদি কমও থাকে, বাচ্চার ভালোই আছে। বন্ধুসমাজে এই ন্যাড়া মাথায় সে মুখ দেখাতে চাইবে না! ঘরেই থাকবে। এমনকি ঘরের অন্যদেরকেও মুখ দেখাতে না চাইতে পারে...

৬# ভিডিও কল কনফারেন্স বা ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস থাকলে বাচ্চাকে বানান সিকিউরিটি গার্ড। সদা তৎপর বাচ্চার কারণে মিটিংয়ের ধরেকাছে কেউ বিরক্ত করতে পারবে না। দুষ্টুমি করার সময়ও বাচ্চা পাবে না।

৭# আপনি যে প্রগাঢ় বাংলা সংস্কৃতিমনা, তার প্রমাণ দিন। নিয়ম করুন, বাসায় যে কথার মাঝে ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করবে, তারই পয়েন্ট কাটা যাবে। বাচ্চা হবে রেফারি। দুষ্টামি বাদ দিয়ে বাচ্চা এইসবেই ব্যস্ত থাকবে।

৮) বড় দেখে একটা তরমুজ নিয়ে পিস পিস করে কাটুন। এরপর বাচ্চাকে দিন সবগুলোর বিচি আলাদা করতে। খেয়েও আরাম পাবেন, বাচ্চাও থাকবে ব্যস্ত!

৯) দুষ্টুমি করলেও খাবার মেন্যুতে করল্লা ভাজি যোগ করুন। দুই দিনেই বাচ্চা করল্লা ভাজি খাবার ভয়ে টুঁ শব্দটিও করবে না।

১০) বাচ্চার পুতুল খেলার শখ থাকলে দুইদিন পরপরই পুতুল বিয়ের আয়োজন করুন। তাতে আধুনিক দিনের মতো সাতদিন ব্যাপী আয়োজন করুন। ব্রাইডাল শাওয়ার, এনগেজমেন্ট, গায়ে হলুদ, প্রি ওয়েডিং ফটোসেশন, বিয়ে, বৌভাত, ফিরানি যাত্রা সব থাকবে। ফাঁকে দিয়ে হলুদের পাশাপাশি বাচ্চাকে দিয়ে কিছু আদা-রসুনও বাটিয়ে নিতে পারেন।

৮৮০ পঠিত ... ১০:৫১, এপ্রিল ২৩, ২০২০

Top