আয়তনে বাংলাদেশ মাত্র দেড় লক্ষ বর্গকিলোমিটার হলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বাস এই দেশে। এই ছোট্ট দেশে এক বাংলা ভাষার মাঝেই প্রচণ্ড বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি দুটো জেলার মানুষ, বাংলাতেই কথা বলছেন কিন্তু তাদের মুখের ভাষা স্পষ্টতই আলাদা করে ফেলা যায়। কখনো কখনো একই জেলার ভিন্ন ভিন্ন অংশের বাসিন্দাদের মুখের ভাষার মাঝেও পার্থক্য দেখা যায়। আঞ্চলিক ভাষার এই বিচিত্রতা আরো একবার দেখা গেল eআরকি করেন? ফেসবুক গ্রুপের একটি ফেসবুক পোস্টে।
রুবায়েত রাহাতের করা সেই ফেসবুক পোস্টে তিনি ‘আমাদের মুরগি দুইটা ডিম দিছে’ এই সাধারণ বাক্যটিকে নিজ জেলা পাবনার আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করে দেন ‘আমারে কুইরক্যা দুইডা ডিম দিছে’। পাশাপাশি রাহাত গ্রুপের সদস্যদের কাছে জানতে চান বাকিদের আঞ্চলিক ভাষায় এই বাক্যটা কেমন। ব্যস, একের পর এক কমেন্ট আসতে থাকে, নানান আঞ্চলিক ভাষায়। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, মাদারীপুর থেকে শুরু করে চাকমা ভাষাতেও এই সহজ কথাটি কীভাবে মানুষ বলেন, তার নমুনা পাওয়া যায় কমেন্ট সেকশনে। কোন কোন কমেন্টের রিপ্লাই সেকশনে একই জেলার একাধিক মানুষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা, তর্ক-বিতর্কও করেছেন, বিভিন্ন শব্দ নিয়ে।
সেই পোস্টের কমেন্ট থেকেই বিভিন্ন ভাষায় ‘আমাদের মুরগি দুইটা ডিম দিছে’ বাক্যটির নানান আঞ্চলক ট্রান্সলেশন একত্রিত করেছে eআরকি।
১#