বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের জৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান। নিয়োগ পরীক্ষায় সবচেয়ে কম নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হয়েও নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। মাস্টার্স ও এমফিল না করেও তিনি পিএইচডি করেছেন। যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন তাদের অবশ্য অনুমোদনই নেই, রয়েছে ভূয়া ডিগ্রী দেওয়ার অভিযোগও। পিএইচডির সময়ও অস্বাভাবিক রকমের কম। মালা খানের পিএইচডির সুপার ভাইজার ছিলেন আবার তার স্বামী কে এম মোস্তফা আনোয়ার। খবর: কালের কণ্ঠ।
এত গুণে গুণান্বিত এই গুণী নারী সম্প্রতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে একধরণের নাসিকা স্প্রে আবিষ্কারেরও ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রায়াল করে সফল হওয়ার দাবিও করেন কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করা এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
সম্প্রতি এক সম্পূর্ণ অবিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, ৬ মাস মেয়াদী নিজস্ব একটি পিএইচডি কোর্সও চালু করবেন তিনি। কোর্স শেষে নীলক্ষেত থেকে একটি ১০০% অরিজিনাল পিএইচডি সার্টিফিকেটও দেয়া হবে। ফার্মগেটে ৩ রুমের একটি বাসায় আপাতত শুরু করলেও ভবিষ্যতে শুধুমাত্র পিএইচডির জন্য নিজস্ব একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্নের কথাও জানান এই মহীয়সী।
নিজের ভূয়া ফেসবুক পেইজ থেকে মালা খান বলেন, 'দেশে অনেকেই আমার মতো পিএইচডি করার স্বপ্ন লালন করেন। কিন্তু আমার মত বুদ্ধি ও সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার কারণে তারা এই উচু পর্যায়ের ডিগ্রী না করার আফসোস নিয়েই শিক্ষা জীবন শেষ করে। আমার প্রতিষ্ঠিত এই কোর্সের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের হাতে পিএইচডি ডিগ্রী তুলে দেয়াই হবে আমার লক্ষ্য। আমার জীবনের একটি সার্থকতাও এতে খুঁজে পাবো।' এই সময়ে মালা খানের চোখের কোণে কয়েক ফোঁটা জলও দেখা যায়।
১৬ কোটি মানুষের পিএইচডি সার্টিফিকেট একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে না? আমাদের এমন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, 'হবে। তবে আমরা বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে আমার সার্টিফিকেটগুলো নাম পালটে দিয়ে দিবো। মাশাল্লাহ, আমার সব সার্টিফিকেট দিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে কাভার করে ফেলা যাবে।'
এই পিএইচডি কোর্সে ভর্তি যোগ্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের কোর্সের ভর্তি একমাত্র যোগ্যতা ইচ্ছা। আপনার পিএইচডি করার ইচ্ছা আছে, ইউ আর ওয়েলকাম। আপনি ফাইভ পাস, নাকি পড়ালেখাই করেননি, ডাজেন্ট মেটার। উই নিড ড্রিম নট সার্টিফিকেট।'