শীতকাল আসতে না আসতেই নানান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে দেশ জুড়ে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটলো পিরোজপুরের ফিরোজের জীবনে। শীতে ফোনে কথা বলতে সমস্যা হওয়ায় ব্রেকআপের মতো কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফিরোজ ফিসফিস করে বলেন, ‘শীত আসার পর ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। ফলে নিজের রুমে থেকে ফোনে কথা বললে তা তিনঘর দূর থেকেও শোনা যায়। আর বেশি ফিসফিস করে কথা বললে প্রেমিকা শোনেও না। এমন নানামুখি জটিলতায় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আসলেই বেশ কঠিন।’
ফ্যান চালিয়ে কথা বলে যাওয়ার চেষ্টাও করেছেন ফিরোজ। কিন্তু শীতের রাতে ফ্যান চালানোয় বাড়ির লোক তাকে পাগলা গারদে ভর্তি করানোর মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। আশেপাশের লোকরা শীত ছড়িয়ে দেয়ার অপবাদে মারধরও করতে আসে ফিরোজকে। এছাড়া তিনি নিজেও গত দুই সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছেন। ফলে ব্রেকআপ করে ফেলা ছাড়া ফিরোজের সামনে আর কোন পথই খোলা ছিলো না।
ফিরোজ ছাড়া আরো প্রেমিকরাও ভুগছেন নানাবিধ সমস্যায়। শাহেদ নামের একজন বলেন, ‘রাতে ফোনে কথা বললে প্রায়ই আমাদের উপর জ্বিন ভূত ভর করে। জ্বিন ভূত ভর করলে এই শীতের সকালে গোসল করতে হয়। বিয়ে না করেই শীতের রাতে গোসল করার প্যারা নিতে যাবো কোন দুঃখে। সেজন্য ব্রেকআপ।’
পাশের বাড়ির মেয়ের সাথে প্রেম করা রাশেদ বলেন, ‘রাতে মাঝেমধ্যে প্রেমিকা পাশের জঙ্গলে গিয়ে দেখা করতে বলে। একে তো শীত, তার উপর জঙ্গলে গেলে গায়ে কুয়াশা পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রেম করার কোন মানে হয় না। প্রেমের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।’
তবে গরমকাল এলেই আবারও এক্সের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।