চলছে গোলের মৌসুম। এমন গোলের মৌসুমে সবাই কমবেশি গোল খায়, খাওয়ায়। আমের মতো সুদর্শন আর সুস্বাদু হলেও গোলের মৌসুমে গোল খেতে চায়না কেউই। নিতান্ত অপারগতায় কষ্ট সহ্য করে দুএকটা গোল তাও খেতে হয় সবাইকে। কিন্তু খেতে খেতে ৮টা গোল খেয়ে ফেলার দুঃখময় রেকর্ড খুবই দুর্লভ। গতকাল ১৫ আগস্টের কালো রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের বার্সেলোনা-বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচে ঘটেছে এমনই শোকাবহ ঘটনা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন তাই খাড়া খাড়া চুল, যন্ত্রণায় কাতর ছলছল চোখ আর বুকের ভেতর জম৮ বাঁধা হাহাকার নিয়ে বার্সেলোনা ও আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি বলেন, 'খেতে খেতে একেবারে ৮টা গোল খেয়ে ফেলেছি।'
আমার এই ৮কপালে দশাটা আর গেল না, এমন মন্তব্য করে মেসি বলেন, 'নরমালি প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি গোল খেলে হজমে সমস্যা হয়। তবে খেতে খেতে ৮টা গোল খেয়ে ফেললে হয়ে যায় কৌষ্ঠকাঠিন্য। এই হজমের সমস্যা ইহজীবনে আর যায় না। সংবাদ মাধ্যম ও ফ্যানদের বদৌলতে অমাবস্যা পূর্ণিমায় এই ৮ গোল জেগে জেগে উঠে।
এত খারাপ দিন তো আর্জেন্টিনায়ও দেখি নাই, এমন আফসোস করে মেসি আহ্লাদে ৮খানা হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ব্রাজিল সাপোর্টারদের বলেন, 'প্লিজ আমার জন্য আপনারা বার্সেলোনার ওপর এত কঠোর হবেন না। ৮ গোলের দায় আমি আমার আর্জেন্টাইন কাঁধে তুলে নিলাম।'
খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও স্বাস্থ্য জটিলতার বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার জন্য জার্মান ফুটবলকে অনুরোধ করে মেসি বলেন, 'ডিনারে এত বেশি খাওয়া ফিটনেস ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আপনারা আদর যত্ন করতে গিয়ে জোর জবরদস্তি এত খাওয়াবেন না প্লিজ।। যেখানে ১ টা গোল বেশি দিলেও কাজ হয় সেখানে কেন ৬ টা গোল বেশি দিয়ে খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য হুমকি মুখে ফেলা লাগবে।'
তবে অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বার্সেলোনা সমর্থক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হয়, 'রাতের গোল মানি না। দিনের বেলায় সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য গোল চাই। সাহস থাকলে দিনে গোল দে।'
সমর্থকদের এমন বিবৃতিতে মেসি কিছুটা লজ্জিত হয়ে বলেন, 'আসলে মন মেজাজ কারোরই ঠিক নাই। ব্রাজিল যাচ্ছি সবাই। নেইমার আর ২০১৬ বিশ্বকাপের ব্রাজিল ফুটবল দলের কাছ থেকে কনসালটেন্সি নিলে আশা করি এই খারাপ সময়টা কাটিয়ে উঠতে পারবো।'