বিশ্বব্যাংক এবং এশিয় উন্নয়ণ ব্যাংক (এডিবি)- এর ঋণে পিপিই, মাস্ক, ভেন্টিলেটর,গগলস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এসব সরঞ্জাম কেনার যে খরচ ধরা হয়েছে তা বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি৷ গগলসের দাম ধরা হয়েছে ৫০০০ টাকা এবং পিপিই এর দাম ধরা হয়েছে ৪৭০০ টাকা, যেখানে এগুলোর বাজার মূল্য যথাক্রমে ৫০০ এবং ২০০০ টাকা।
স্বাস্থ্য সরঞ্জামের অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করায় যথারীতি ক্ষেপেছেন সোশাল মিডিয়ার সুধীসমাজ এবং দেশের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ। তবে সবাইকে ঠান্ডা হতে বললেন দেশের বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত। সকলের উদ্দেশ্যে তিনি এক বাক্যে বলেছেন, 'জিনিস যেটা ভাল, দাম তার একটু বেশি'। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড না হওয়া ফেক পেজ থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
দুইটি লাভ ইমো দিয়ে আবুল হায়াত বলেন, 'জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে আমি ওই ঢেউ টিনের অ্যাডের শিক্ষাটাকে কাজে লাগাই।'
অ্যাডটির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা দেখেছেন সেখানে কম দামি পাঞ্জাবি কিভাবে এক ধোয়াতেই ছোট হয়ে গেছে। কম দামি পিপিইও ওরকম ছোট হয়ে যাবে। কম দামি গগলস কিছুদিন পর ঘোলা হয়ে যাবে৷ তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। কিনলে ওরকম ভালো জিনিসই কেনা উচিৎ।'
অ্যাডে আমার মেয়ের জামাই যেমন বোকামি করেছিলো ওরকম বোকামি করবেন না, এমন উপদেশ দিয়ে তিনি আরো বলেন, 'পাঞ্জাবি ছোট হয়ে গেলে শরীরে বাতাস ঢুকবে আর পিপিই ছোট হয়ে গেলে ঢুকবে করোনাভাইরাস। বুঝতেই পারছেন এখন বোকামি করার সময় না। তাই নিজেদের স্বার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজকে সমর্থন করুন।'
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে আবুল হায়াত বলেন, 'আপনারা থেমে যাবেন না৷ কিছু না বুঝেই চিল্লানো এই জাতির স্বভাবে পরিণত হয়েছে। টাকের দাম বোঝে না বলে এরা আমার টাক নিয়েও অনেক কথা বলে। এসব কথা গায়ে মাখা যাবে না, সরি, পিপিইতে মাখা যাবেনা।'
এসময় অনেকেই রূপপুরের বালিশ কেলেংকারি খবরের লিংক কমেন্টে দিলে আবুল হায়াত সেন্টি ইমো দিয়ে বলেন, 'দামি বালিশে ঘুম ভাল হয়৷ ওরকম বালিশে ঘুমালে তোমরা এরকম কথা বলতে না। জিনিস যেটা ভাল সেটা বালিশ হোক বা পিপিই, তার দাম সব সময়ই বেশি।'
তবে কমেন্টে একজন সমালোচনা করে বলেন, 'পিপিই গগলসের এমন দাম শুধু আবুল হলেই বিশ্বাস করা যায়!'
আরও পড়ুন: ৫০০০ টাকার গগলস ও ৪৭০০ টাকার পিপিইতে থাকছে যে ১০টি এক্সক্লুসিভ ফিচার