আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক আফ্রো-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য থেকে হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো আমেরিকায়। কারফিউ জারি করে বিশেষ বাহিনী নামিয়েও ৫ দিন ধরে চলতে এই বিক্ষোভকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে গতকাল হোয়াইট হাউজের সামনে সহিংস বিক্ষোভ হলে নিরাপত্তার জন্য ট্রাম্প সারারাত বিশেষ বাঙ্কারে অবস্থান নেন। (খবর-বিবিসি)। ওই বাঙ্কারে থাকা অবস্থাতেই 'টুইট কিং ট্রাম্প' নামে নিজের ফেইক একাউন্ট থেকে 'বিক্ষোভ দমনে 'হেলমেট স্পেশাল ফোর্সে'র অভাবে ভুগছেন বলে জানান তিনি।
যেকোন ধরনের বিক্ষোভ দমনে বাংলাদেশি 'হেলমেট স্পেশাল ফোর্স' নামের এই পলিসিভিলিয়ান আর্মির (সিভিলিয়ান বাট পলিটিক্যাল কর্মী) ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির এমন একটি ব্যক্তিগত আর্মি না থাকায় আফসোসও করেন ট্রাম্প। বাঙ্কারে পাহারায় থাকা স্পেশাল ফোর্সের সদস্যদের কয়েকবার 'স্টুপিড' বলে ট্রাম্প বলেন, 'আজ আমার একটা 'হেলমেট স্পেশাল ফোর্স' থাকলে আমাকে বাঙ্কারে আসতে হতো না। ওরা হেলমেট পরে এসে দ্বিতীয় দিনেই বিক্ষোভ থামিয়ে দিতো। অন্তত আমার বাসভবনের সামনে ওরা একটা কাকপক্ষীও আসতে দিতো না।'
বাঙ্কারে থাকা অবস্থাতেই রিপাবলিকান পার্টির ইন্টারনেটবিহীন এক বিশেষ ভিডিও মিটিং-এ দেশ, দল ও ক্ষমতা রক্ষায় অতিসত্ত্বর 'হেলমেট স্পেশাল ফোর্স'র আমেরিকান শাখা খোলার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। আমেরিকান রিপাবলিকান ইয়ুথ সাপোর্টারদের অংশগ্রহণে 'হেলমেট স্পেশাল ফোর্স' বাংলাদেশ শাখার সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন প্রধানের তত্ত্বাবধানে আমেরিকান এই বিশেষ আর্মি গঠন করার একটি মডেলও দেন তিনি। প্রয়োজনে এই বাহিনী গড়ে তোলার পেছনে আমেরিকান সম্পূর্ণ সামরিক বাজেট ব্যয় করার কথাও জানান।
তবে বর্তমান জরুরি অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দেশটি সেনা মোতায়েন করার পাশাপাশি স্পেশাল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 'হেলমেট স্পেশাল ফোর্স'র সাহায্যও চেয়েছে। এ বিষয়ে 'হেলমেট স্পেশাল ফোর্স'র সেনা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে একটি অলিখিত বার্তাও প্রেরণ করেন ট্রাম্প।
