যুবলীগের সহজ সরল ভাইটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ইয়াবা খাওয়ালেন পাষণ্ড স্টেশন মাস্টার (ছবিসহ)

১৯৮২ পঠিত ... ১৯:৩৩, এপ্রিল ১৮, ২০১৯

গত ১২ এপ্রিল রাত থেকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শায়েক আহমেদ এবং ভানুগাছ রেলস্টেশন মাস্টারের ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই দুইজনসহ আরও কয়েকজন মিলে প্রায় রাতে রেলস্টেশনে ইয়াবা সেবন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর: জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোর।

স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে যুবলীগ নেতার ইয়াবা খাওয়ার ভাইরাল হওয়া সেই ছবি (বামে)। স্টেশন মাস্টার বর্তমানে পগারপার।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মাদক গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে দাবি করেছেন ছবিটি দুই বছর আগের, যদিও ছবির গায়ে যে তারিখ রয়েছে তা গত বছরের ২১ অক্টোবরের। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর ১৩ এপ্রিল স্থানীয় যুবলীগ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে, যা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানানো হয়। এদিকে গত ১৪ এপ্রিল ভোররাতে কর্মস্থল ভানুগাছ স্টেশন ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন স্টেশন মাস্টার সাহাবুদ্দীন ফকির। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় তিনি নিজেকে গোপালগঞ্জের ছেলে পরিচয় দিয়ে এ স্টেশনে যোগদানের পর প্রভাব দেখাতেন।

এ ব্যাপারে তদন্ত করতে আমাদের মাদক গবেষক দল দ্রুত ছুটে যান ভানুগাছের দিকে। স্টেশনমাস্টার যেহেতু উধাও, অগত্যা তাই স্টেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। স্টেশনে ঢুকতেই গোপালগঞ্জে থাকা লতায়-পাতায় বহুদ্দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে একজন কর্মকর্তা প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, 'আপনার কাছে ফয়েল পেপার আছে?'

'এই স্টেশনে কি ইয়াবা সেবন করা হয়? আপনি তাদেরকে ইয়াবা সেবন করতে দেখেছেন?' এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'না না, প্রশ্নই ওঠে না। উনারা দরজা বন্ধ করে খাইতেন। দেখার সুযোগই পাই নাই।'

এ পর্যায়ে তিনি ফিসফিস করে জানান, 'কয়েক রাত ধরে ঘুমাই না ভাই, জানেনই তো স্টেশনের কাজ, অনেক রাত জাগতে হয়।' বলতে বলতেই আমাদের আপ্যায়ন করতে তিনি দোকান থেকে একটি হাফ লিটার সেভেন আপ কিনে মোখাটা নিজের কাছে রেখে বোতলটি আমাদের দিকে বাড়িয়ে দেন।

তার কাছে তেমন কোন কার্যকর তথ্য না পেয়ে eআরকি গবেষকেরা ছুটে যায় স্থানীয় যুবলীগ কার্যালয়ের দিকে। শায়েক কি ইয়াবা সেবন করতেন কি না, জানতে চাইলে সেখানকার একজন সদস্য চমকে উঠে হাত থেকে অতিরিক্ত চিনি মেশানো চায়ের কাপটি ফেলে দেয়। দুই হাত নাড়িয়ে তিনি আমাদের বলেন, ‘না না... উনার মতো মানুষ আবার ইয়াবা খাবে? প্রশ্নই উঠে না! মাঝে মধ্যে স্টেশন মাস্টারের রুমে গিয়ে সর্বোচ্চ দুই একটা প্যারাসিটামল খেতেন। উনার আবার মাথাব্যাথা আছে তো, মাঝে মধ্যে তাড়াতাড়ি ফল পাওয়ার জন্য ফয়েলে গলিয়ে নাপা খেতেন। এখন যদি কোন বিরোধী দলের কর্মী ষড়যন্ত্র করে নাপার বদলে বাবা রেখে আসতেন, তাহলে তো তার কোন কিছু করার ছিলো না। আমার সন্দেহ হয় ওই স্টেশন মাস্টারকেই। আমাদের সহজ সরল ভাইটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কি না কি খাইয়েছে, কে জানে!

তিনি ছবিটি নাড়িয়ে চাড়িয়ে জুম করে কয়েকবার কনট্রাস্ট চেঞ্জ করে চিন্তিত মুখে আরও বলেন, 'এইগুলা ইডিট করা যায় ভাই!'

১৯৮২ পঠিত ... ১৯:৩৩, এপ্রিল ১৮, ২০১৯

Top