বাড়িতে বসে কিংবা শুয়ে নেটফ্লিক্স কিংবা অ্যামাজন প্রাইমে মুভি কিংবা টিভি সিরিজ দেখতে দেখতে নিশ্চয়ই দিনকাল অনেকের কাছে একঘেয়ে হয়ে আসছে? প্রায়ই নিশ্চয়ই মনে পড়ে যায়, সিনেমা হলের মৃদু-ঠান্ডা-অন্ধকার সেই পরিবেশে, এক ঝাঁক সিনেমাপ্রেমীর মাঝে, পপকর্নের সাথে সিনেমার আকস্মিক মোড় ঘোরানো মুহূর্তের স্বাদ একাকার হয়ে যাওয়ার কথা? কিন্তু সিনেমা হলে তো যাওয়ার উপায় নেই। করোনার এই স্বাস্থ্যঝুঁকির মাঝে বিভিন্ন দেশ তাদের সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। কেমন হয় বলুন তো, যদি কেউ বলে এমন সঙ্কটের মাঝেও সিনেমা হলের মতনই সিনেমা দেখা যাবে? উপরন্তু, চার দেয়ালের সিনেমা হলের বদলে নদীর মাঝে নৌকায় বসে প্রকৃতির আলিঙ্গনে বিশাল স্ক্রিনে দেখা যাবে সিনেমা এবং পাওয়া যাবে সেই একই স্বাদ? তাও আবার ফ্রিতে!
এমন সঙ্কটাপন্ন অবস্থার মাঝে তাই প্যারিস তাদের 'গ্রীষ্মকালীন কার্যক্রম ২০২০' এর জন্য নিয়ে এসেছে সিনেমা দেখার এক অভিনব সমাধান- ৩৮টি ইলেক্ট্রিক বোট সম্বলিত 'ভাসমান সিনেমা হল' বা 'ফ্লোটিং সিনেমা'। বিভিন্ন দেশে ফ্লোটিং মার্কেটের প্রচলন থাকলেও ফ্লোটিং সিনেমা এই প্রথম প্যারিসেই চালু হল।
প্যারিসে প্রতি বছর সেইন নদীর তীরে 'প্যারিস প্লেজেস' নামক গ্রীষ্মকালীন কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা এবং কার্যক্রম চলে সারাদিন ধরে। করোনার কারণে এ বছর ভাসমান সিনেমা হলের আয়োজন করেছে প্যারিস এবং এর নাম দিয়েছে 'cinéma sur l’eau’ (cinema on the water)। সিনেমা দেখার জন্য সঠিক নিরাপত্তা ও দূরত্ব বজায় রেখে নদীর মাঝে ৩৮টি যান্ত্রিক নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ১৫০টি ডেক চেয়ার সাজানো হয়েছে প্লেজেস বা সমুদ্রতীর সীমানায়। যাদের এই বিশেষ সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করার সুযোগ হয়েছে তাদের বাছাই করা হয়েছে র্যাফেল ড্র'এর মাধ্যমে। ১৮ জুলাই এই বিশেষ আয়োজনের পর্দা উঠেছে ১৬×৯- মিটার স্ক্রিনে gilles lellouche’s এর ফিল্ম ‘le grand bain’ দেখানোর মাধ্যমে। অনুষ্ঠানটির বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সেইন নদীর তীর উপভোগ করার সুযোগ পাবে সকলে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন