এখনকার ওয়েডিং ভিডিওগুলো একটু অন্যরকম। সেখানে একটা গল্প থাকে, অসাধারণ সেট ডিজাইনের পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফিও থাকে আন্তর্জাতিক মানের, ক্লাইমেক্স, থ্রিল, সাসপেন্স কোনকিছুরই কমতি থাকে না। অনেকে নিজেদের এমন মান সম্পন্ন ওয়েডিং ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মত ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মগুলো রিলিজ করেন। তবে গুলশানের আনিকা নিয়েছেন সম্পূর্ণ ভীন্ন এক উদ্যোগ। নিজের ওয়েডিং ভিডিও নেটফ্লিক্সের রিলিজ করতে চান এই নববধূ।
আনিকার ওয়েডিং রোমান্টিক, অ্যাকশন, থ্রিলার, মিউজিক্যালসহ একাধিক জনরায় আন্তর্জাতিক মানের কাজ বলে দাবি করেন আনিকা। তিনি বলেন, 'আমাদের গল্পের শুরুটাই মানে যে পার্টে আমার আর ওর পরিচয় আর প্রোপোজের অংশ দেখানো হয়েছে সেটা বলিউড, হলিউডের যেকোন রোমান্টিক সিনেমার চেয়ে সেরা।'
সিনেমার অ্যাকশন অংশের কথা বলতে গিয়ে আনিকা জানান, 'গেটে টাকা পয়সা নিয়া যে অ্যাকশন হইছিলো ওটা নিঃসন্দেহে ফাইট ক্লাব কিংবা গ্যাংস অফ ওয়াসেপুরের মত সিনেমাকে হার মানাবে। কাটা চামুচের আঘাতে বরসহ দুইজনের দাঁত পরে গেছে। শরবত আর মিষ্টি ছোড়ার দৃশ্য গ্রেনেড আর বুলেট ছোড়ার দৃশ্যের চেয়ে কোন অংশের কম না।'
হলুদের নাচ, গানের ভিডিওর কথা জানিয়ে আনিকা বলেন, 'আমার কাজিনরা মাশাল্লাহ যে নাচ দিছে লা লা ল্যান্ড ফেইল ভাই!'
আনিকার ওয়েডিং ভিডিওতে থ্রিলেরও কমতি নাই। থ্রিল, সাসপেন্স আর ক্লাইমেক্সে আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার উদ্দেশ্যে আনিকা নিজের এক্স ও আনিকার বরের এক্সকে ইনভাইট করেছেন। ক্যামেরায় বারবার তাদেরকে দেখনোও হয়েছে। ফ্ল্যাশব্যাকে পুরোনো দিনের প্রেমের দৃশ্যের পাশাপাশি বজ্রপাত, সমুদ্রের ঢেউ ভাঙ্গার দৃশ্যও বুকে কাঁপন ধরানোর মত। আনিকা বলেন, 'সাসপেন্স আর থ্রিল এমন পর্যায়ে পৌঁছাইছে একসময়ও আমার মনে হইছিলো বিয়ে টিয়ে রাইখা আমার এক্সকে নিয়ে পালাইয়া যাই। দিলেওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে টাইপ অবস্থা।'
নেটফ্লিক্সের উদ্দেশ্যে আনিকা বলেন, 'আমার এই ওয়েডিং ভিডিও রিলিজ দিলে প্রথম দিনই আইএমডিবি রেটিং সাড়ে ৯ এ গিয়া পৌঁছাবে।'
