খুলনা ৬ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান কয়রাতে একটি বাঁধ পরিদর্শন করতে গেলে স্থানীয় জনগণের তোপের মুখে পড়েন। জনগণের ধাওয়া খেয়ে তিনি নৌকায় করে পালিয়ে যান। খবর: প্রথম আলো।
আওয়ামী সাংসদের এমন সম্মানহানী ও রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে কয়রার ছাত্রলীগ ও যুগলীগকে নিয়ে। একাধিক ভূয়া অধিকার রক্ষাকারী কমিটি উষ্মা প্রকাশ করে জানতে চেয়েছেন, তবে কি কয়রাতে ছাত্রলীগ ও যুগলীগের কোন কার্যক্রম নেই?
সংগঠনগুলোর এক ভূয়া সভা থেকে বলা হয়, ‘দেশের আওয়ামী জনগোষ্ঠির ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে ছাত্রলীগ যুবলীগ। তারা থাকলে এভাবে একজন সম্মানীত আওয়ামী সাংসদের ধাওয়া খাওয়ার ঘটনা একদমই মানা যায় না। সাংসদকে যখন কাদা ছুড়ে মারছিলো, তখন তারা কোথায় ছিলো? তারা পালটা কাঁদা ছুড়ে মারলো না কেন! এমপির আশেপাশে হেলমেট পরা কাউকেই দেখলাম না! তবে কি দেশ উল্টো রথে চলেছে? নিয়ম শৃঙ্খলা, আইনের শাসন সব উঠে যাচ্ছে?'
শুধু পুলিশের উপর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া নিয়েও কথা হয় সভায়। ছাত্রলীগ-যুবলীগের উদ্দেশ্যে একজন বলেন, ‘আপনারা যদি ভেবে থাকেন শুধু পুলিশের উপর নিরাপত্তার দায়িত্ব দিলেই কাজ হবে, তাহলে আপনারা ভুল। পুলিশের নিরাপত্তার জন্যই তো মাঝেমধ্যে আপনাদের লাগে। বিগত দিনগুলোতে দেশের নানান গ্যাঞ্জামে পারফর্ম করে আপনাদের বোঝা উচিত, মাঠে ছাত্রলীগ-যুবলীগ না নামলে কোনভাবেই শান্তি ফিরে আসে না। যেখানে পুলিশের ক্ষমতা শেষ, সেখানেই তো ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্ষমতা শুরু।'
ভবিষ্যতে সাংসদদের কাদা ছোড়াছুড়ির হাত থেকে রক্ষা করতে জনগণের স্বার্থে একটি কাদা নিরাপত্তা আইন প্রনয়ণের আহবানও করা হয় সভা থেকে। বলা হয়, ‘এখন বর্ষাকাল, যেকোন সময় যে কেউ কাদা ছুড়তে পারে। এই সময়ের জন্য এই আইনটি দরকার। বর্ষা চলে গেলে এই আইন আবার বাতিল করা হবে।'