গতরাতে রক্তিম চাঁদ দেখা গিয়েছে আকাশে। আর রক্তিম চাঁদের কবলে পড়ে শতশত তরুণ তরুণী চন্দ্রাহত হয়েছে বলে ফেসবুকের একাধিক আইডির স্ট্যাটাস সূত্রে জানা যায়। চাঁদ দেখার পর আহত হওয়ার খবর সবাই নিজেদের ফেসবুক একাউন্ট থেকে জানিয়েছে। এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর চন্দ্রাহত মুমূর্ষুদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় করেছে আত্মীয়স্বজনরা।

উত্তরার মিমকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসেছে তার দুরসম্পর্কের এক আন্টি। দিগ্বিদিক ঘুরাঘুরি করেও মিমকে না পেয়ে আমাদের সাথে কথা বলেন তিনি। জানা যায়, মিমের ফেসবুক ফ্রেন্ড এই আন্টি মিমের চন্দ্রাহত স্ট্যাটাস দেখে সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালে ছুটে আসে। নিজের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ওর মাকেও খুঁজছি। কত করে বললাম, মেয়েকে বিয়ে দেন। কথা শুনে না। এখন হলো তো চন্দ্রাহত! এই মেয়েকে এখন কে বিয়ে করবে! যাই বাসায় গিয়ে ওর মাকে আবারো কথাটা বলে আসি।'  

ধানমন্ডির সাব্বিরের খোঁজে হাসপাতালে এসেছেন সাব্বিরের মা। সাব্বিরের বন্ধু মারফত সাব্বিরের ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা শুনে তিনি দৌঁড়ে হাসপাতালে আসেন। ছেলেকে না পেয়ে আবারো বাসায় চলে যান। সাব্বিরকে দুইটা ধমক দিয়ে তিনি বলেন, 'আরো বেশি করে মোবাইল টেপ। মোবাইল টিপে টিপেই চন্দ্রাহত হয়েছিস। কিছুদিন পর সূর্যাহতও হবি। নালায়েক কুলাঙ্কার কোথাকার। আসুক তোর বাপ। তার একদিন কি আমার একদিন।'

এই সময়ে আঁচলে মুখ লুকিয়ে ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে তিনি আমাদের বলেন, 'এই সংসারের কেউ যদি আমার কথা শোনে। আমি বলে এই সংসারে পড়ে আছি। অন্য কেউ হলে এদেরকে ফেলে চলে যাইতো।'

গুলশানের তিথির মা কোনভাবেই বুঝতে পারছেন না তার মেয়ে চন্দ্রাহত কীভাবে হলেন। চোখে মুখে রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে তিনি বলেন, 'ওরে দেখলাম রুমে শুয়ে আছে। ও বাইরেই বা কখন গেল আর চাঁদ কবে ওর মাথার উপর পড়লো। এখন এই আহত মেয়েকে নিয়ে আমি কই যাবো।'

এমন ঘটনার পর অনেকে সন্তানদের দিনের বেলা বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনই এক আন্টি বলেন, 'রাতের বেলা বলে মাথার উপ্রে চাঁদ পড়ে চন্দ্রাহত হইছে। দিনের বেলা বাইরে গেলে তো সূর্যাহত হয়ে বসে থাকবে।'

এদিকে এমন বিপর্যয়ের জন্য মেয়েদের জিন্স ও টি-শার্টকে দায়ি করেছেন বিজ্ঞানী কাজি ইব্রাহীম (এমবিবিএস, এফসিপিএস, নাসা)। তিনি বলেন, 'মেয়েরা জিন্স-টিশার্ট পরে দেখেই এদের উপর চাঁদ এসে পড়ে এদেরকে আহত করে দেয়। গতরাতে স্বপ্নে মাঁমুন মাঁরুফকে এমন কথা জানিয়েছে চাঁদ।'