লুঙ্গি ঠিকঠাক ভাবে পরেই ঘুমান রফিক। কিন্তু সকালে উঠে দেখেন লুঙ্গি উল্টে কোমরের নিচের অংশ থেকে কোমরের উপরের অংশ হয়ে মুখ আবৃত করে ফেলেছে। এমন কান্ডের জন্য এতদিন ভূতকেই দায়ী করতেন তিনি। তবে সম্প্রতি পুলিশের রিক্সা উল্টে দেয়ার বিভিন্ন নিউজ ও ছবি দেখে ভুল ভেঙ্গেছে তার। রফিক নামের এই ভূয়া লোকটি দাবি করছেন, ভূত না, পুলিশই মূলত প্রতিরাতে অনৈতিকভাবে তার লুঙ্গি উল্টে দেয়।
পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাসে নিজের ফেক আইডি থেকে রফিক আমাদের জানান, 'শুধু লুঙ্গি উল্টে গেলে ভূতের কাজ বলে ভাবা যেত। কিন্তু আমার বউ বলে, মাঝে মাঝে নাকি রাতে আমার দিক থেকে হাওয়া বের হওয়ার আওয়াজও পায় সে। এদিকে ওইদিন দেখলাম, রিক্সা উল্টে দেয়ার পাশাপাশি পুলিশ রিক্সার হাওয়াও ছেড়ে দিচ্ছে। বুঝেন তাইলে আমার হাওয়া কে ছাড়ে? এই কাম কার?'
পুলিশই এই কাজ করেছে, তা আপনি কীভাবে এত শিওর হলেন? আমাদের এমন প্রশ্নে রফিক তার ছেলে করিমের উদাহরণ হাজির করেন। তিনি বলেন, 'এই দেখেন, আমার ছেলে দামী জিন্স প্যান্ট পইরা ঘুমায়। ওরটা কিন্তু কোনদিনই উল্টে না। পুলিশের কর্মকান্ডের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন, পুলিশ রিক্সা উল্টাইলেও প্রাইভাট কার কিন্তু উল্টায় না। এদের যত ক্ষোভ লুঙ্গি আর রিক্সার মত নিম্নবিত্তদের জিনিসে। এরপরও আপনি জানতে চান আমি কীভাবে শিওর হলাম!'
রফিকের এমন অনুসন্ধানী মেধার সাথে না পেরে আমরা কথা বন্ধ করে দেই। এরপর বাসায় গিয়ে সকল লুঙ্গি বুড়িগঙ্গার জলে বিসর্জন দিয়ে প্যান্ট কিনে বাড়ি ফিরি। কারণ, সাবধানের মাইর নাই।
