পড়ালেখা করে বড় ডিগ্রি নিয়েও ঘুষের টাকা জোগাড় করতে না পারায় চাকরি হয় না অনেক মেধাবী মানুষের। এ সকল বঞ্চিত মানুষের জন্য দারুণ এক সুবিধা নিয়ে এসেছে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক। একটি সম্পূর্ণ ভূয়া তথ্যব্যাংক থেকে জানা যায়, সরকারি চাকরির ঘুষের জন্য লোন সুবিধা দেয়ার কথা ভাবছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সাথে সাথে নির্দিষ্ট অংকের লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি হয়ে গেলে মাসিক কিস্তিতে কিংবা নিজে আবার ঘুষ নিয়ে এককালীন লোন পরিশোধ করতে পারবেন তারা।
অনেক সময় দেখা যায়, আবেদন করার সাথে সাথে ঘুষের টাকা দিতে না পারার জন্য অনেকে প্রশ্নপত্র হাতে পায় না। যারা ঘুষের টাকা দিতে পারে কেবল তারাই প্রশ্নপত্র পেয়ে নিজ যোগ্যতায় লিখিত পরীক্ষায় ভালো করে। এতে সঠিক মেধা মুল্যায়নের ক্ষেত্রে একটা বৈষম্য তৈরি হয়। এই লোনের ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন জটিলতার অবসান ঘটার পাশাপাশি সবাই প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে পরীক্ষায় ভালো করার যোগ্যতা অর্জন করবে। চারপাশে একটা সমান অধিকার সমান অধিকার বাতাস বয়ে যাবে।
বেসরকারি ব্যাংকের লোনের এই সুবিধার প্রশংসা করেছেন এক সরকারি ঘুষখোর কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাদের কাছে এসে অভাবের কথা বলে। তাদেরকে কিছু ছাড় দিতে হয়। এই তো সেদিন, ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার কথা বলে জমি বিক্রি করে একজন ৪৫ লাখ টাকা দিলো। মানবতার খাতিরে মেনে নিয়েছি। এভাবে প্রতি নিয়োগে ৮-১০ টা কেস থাকেই। মেনে নেই। ঘুষখোর হলেও আমাদের ভেতর মানবতা আছে। এই লোন চালু হলে আর এভাবে মেনে নিতে হবে না। সবাই পুরো টাকা দিতে পারবে।‘
কোন কোন ব্যাংক এই সুবিধা দিচ্ছে জানতে চেয়ে এই কর্মকর্তা আমাদের বলেন, ‘কারা কারা দিচ্ছে জানলে একটু ভালো হয়। লোনের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের রেফার করে দিবো। রেফার করে দিলে ব্যাংকগুলো কত পার্সেন্ট করে কমিশন দিবে? জানেন কিছু?’
তবে ব্যাংকগুলো থেকে ঘুষ দেয়ার জন্য লোন নিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকেও ঘুষ দিতে হবে কিনা, সে ব্যাপারে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন বেকার তরুণরা।
