সম্প্রতি সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিয়ে গবেষণা চালায় উগান্ডার একটি সংস্থা। গবেষণায় দেখা গেছে, হুট করে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের পশ্চিমের দেশগুলোতে ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদিকে গবেষণার অন্য একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, হুট করে বাংলাদেশে ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা নেমে গেছে শূন্যের কোঠায়।
গবেষণার তথ্য অনুসারে, আমেরিকা থেকে ফেসবুক ব্যবহার করছে এমন ইউজারদের সংখ্যা গত তিনদিনে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। এছাড়া নেদারল্যান্ডস, ইউকে, জার্মানি, তুরস্ক এসব দেশেও ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা আশ্চর্যজনক হারে বেড়ে গেছে।
ইউরোপ-আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বিপরীত এই চিত্র বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। তবে কী জন্য এমন হচ্ছে, কিছুই বোঝা যাচ্ছে। অনেকে যদিও ধারণা করছেন, বাংলাদেশের কমে যাওয়া ইউজাররাই ইউরোপ আমেরিকায় গিয়ে ফেসবুক চালাচ্ছে। তবে এত মানুষ কীভাবে ইউরোপ আমেরিকা চলে গেলেন, সেই হিসাব মেলানোও সম্ভব হচ্ছে না কোনোভাবেই।
বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন এক বাংলাদেশি। উন্নত এই দেশটির এক নাগরিক জানান, ‘উন্নত দেশে বসে ফেসবুক চালাতে আর ভাল্লাগে না। সেজন্য অনুন্নত ইউরোপ-আমেরিকা যাই। বসে বসে ফেসবুক চালাই আর ওদের গরীবি আর অসহায়ত্ব দেখি। ভাল্লাগে।’
যদিও ২৭ মার্চ প্রকাশিত প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন মারফত জানা যায়, ‘বাংলাদেশে ফেসবুকের সেবা নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে ফেসবুক জানে। এবং বিষয়টি বোঝার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে নিজের একটি ফেক আইডি থেকে তিনি বলেন, ‘এই যে ফেসবুক বন্ধ থাকার কারণে মানুষজন মিনিটে সেকেন্ডে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঘরে বসেই ইউরোপ বেড়াতে পারছে, এই ডিজিটাল সুযোগ কে দিয়েছে?’