হত্যাচেষ্টা মামলায় ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা নেমেই গ্রেফতার হওয়া শিকদার গ্রুপের এমডি রন হক শিকদারকে বিকেলেই জামিন দিয়েছে আদালত। এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডিকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি রেখে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৯ মে মামলা হয় রন হক শিকদার ও তার ভাই দিপু হক শিকদারের নামে। কিন্তু মামলা হওয়ার পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুই ভাই করোনার মধ্যেই বিদেশে পাড়ি জমান।
বাবার মৃত্যুর খবরে ঢাকা এসে গ্রেফতার হওয়া রন হক শিকদার আফসোস করে বলেন, 'এত দ্রুত জামিন পাবো জানলে আমার ভাই দিপুকেও নিয়ে আসতাম।'
বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় খরচ হওয়া বিমান ভাড়া ফেরত চেয়ে রন হক শিকদার বলেন, 'আগে বললেই হতো, জামিন দিয়ে দিবেন। তাহলে এত ঝামেলা করে বিদেশ যাওয়া লাগতো না। বিমান ভাড়াটা হুদাই নষ্ট করলাম। আপনাদের এমন দায়িত্বহীনতার কারণে করোনার সময় কত ঝামেলা করে কয়েকগুণ বেশি টাকা খরচ করে বিদেশি বিমান ভাড়া করে বিদেশ গেছি। এই ধরণের ফাজলামির কোন মানে হয় না।'
অন্তত এক সপ্তাহর প্রিপারেশন ছিল, ফিসফিস করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'মিনিমাম তিনদিন তো এটলিস্ট রাখবে, নাকি? পাওয়ারফুল হওয়ার কত যে সমস্যা... জেলে থাকতেই দিতে চায় না।'
তবে দেশের তড়িৎ গতির বিচারব্যবস্থার বেশ প্রশংসা করেছেন এই একসময়ের পলাতক আসামি। তিনি বলেন, 'হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামী হয়েও সকালে গ্রেফতার হয়ে বিকালে জামিন পাইছি। দেশের বিচারব্যবস্থার এই অগ্রগতি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। অথচ কিছু অবিবেচক মানুষ হুদাই দেশের বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করে। এদের এখনই ডিজিটাল সিকিওরিটি অ্যাক্টে জেলে ঢুকিয়ে দেয়া উচিত।'
দেশের বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রেখে নিজের ভাই দিপুকেও দেশে আসার জন্য খবর পাঠিয়েছেন বলে জানান রন হক শিকদার।