গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী হলমার্কের জিএম তুষার আহমদ ঘুষ দিয়ে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এতে কারাগারের দুই কর্মকর্তা সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।
অনলাইনবাসী ও সাধারণ জনগণদের মাঝে এই খবরে হাসির রোল পড়লেও শিহরণ ও আশা জাগিয়েছে আসামীদের মনে৷ এ ব্যাপারে একজন নির্দোষ আসামী ইরফান সেলিম এক্সাইটেড হয়ে বলেন, 'আরে ভাই, কাশিমপুরে থাকতে পারলে এতো তাড়াতাড়ি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতাম না। টাকা পয়সা কি আমার কম আছে নাকি? আর আমি তো নির্দোষই। মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দিয়েছে ওই নৌ বাহিনী অফিসার... তাও যদি কাশিমপুরে থাকতে পারতাম... কষ্ট একটু কমতো... অনেক কষ্ট হইছে কয়টা দিন...'
এ পর্যায়ে ইরফান সেলিমের উজ্জ্বল চোখ ছলছল করে ওঠে।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কয়েকজন বন্দী যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তারা জানান, 'কাশিমপুর কারাগারের কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত মানবিক। তাদের আচরণে আমরা মুগদ্ধ। শীতকালে তারা হিটারের ব্যবস্থা করেছেন। এইখানে আমগোর খুব কষ্ট... বিনোদনের কোনো ব্যবস্হা নাই... হিটার নাই... আমাদের ব্যাপারটা যদি কেউ দেখতো...'
এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধীরা কারাগারে যেতে আগের মতো ভীত না বলে জানা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অতি ইচ্ছুক এক ছিঁচকে চোর জানান, 'মামা ডেটিংয়ের কোনো জায়গা পাইতেছি না। লিটন মিয়াও ব্যবসায় একটিভ নাই। এহন জেলে যামু ভাবতাছি। জেলে যাওয়ার ধান্দায় গত তিনদিনে বিশটা চুরি করলাম, তাও এরেস্ট হই না। এদিকে গার্লফ্রেন্ড ফোন দিয়া বারবার জিগায় প্লেস পাইছি কিনা! কী করুম কন তো?'
এ ব্যাপারে হলমার্কের জিএম তুষারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক কারা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে মেসেঞ্জারে নক দিয়ে ছড়া কেটে বলেন-
'জেলখানা যখন বাড়ি
পয়সা থাকলে মিলিবে,
হরেক রকম নারী...'