অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে গল্পের বই থেকে বাদ যেতে পারে শিয়াল-মুরগির গল্প

৮৯০ পঠিত ... ১৫:১১, জানুয়ারি ০৬, ২০২১

 

অনুভূতিতে আঘাত হানার প্রতিবাদে গল্পের বই থেকে শিয়াল, মুরগিসহ অন্যান্য প্রাণীদের গল্প বাদ দেয়ার দাবি তুলেছে শিয়াল, মুরগী ও বন্যপ্রাণী ঐক্যজোট।

মানুষের সব বাজে স্বভাব বন্যপ্রাণীদের নামে চালিয়ে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদও জানান তারা। শিয়াল ও মুরগির একটি গল্পের উদাহরণ টানেন এক শিয়াল। তিনি বলেন, 'আমরা মানুষের মতো ধোঁকা দেই না। প্রয়োজনে মুরগি খাই। পেট ভরা থাকলে আর খাই না। অথচ মুরগির বাচ্চাদের শিক্ষিত করার অজুহাতে খেয়ে ফেলার যে গল্প বইতে আছে, ওটা একদম বানোয়াট। এই ধরনের গর্হিত কাজ কেবল মানুষের দ্বারাই সম্ভব।'

প্রতিবাদ জানান খরগোশও। ঈশপের উপর অভিযোগ এনে জনৈক খরগোশ বলেন, 'কাজে ফাঁকিবাজি আমরা করি না। সময়ের কাজ সময়ে করার ব্যাপারে আমাদের সুনাম আছে। এইসব কাজ করে মানুষেরা। অফিসে গিয়ে ঘুমায়। কেউ কেউ বছরে ১০ দিনও অফিস করে না।'

খরগোশের সাথে সহমত পোষণ করেন কচ্ছপও। জনৈক কচ্ছপ বলেন, 'ধীর গতি বোঝাতে যেখানে সরকারি কাজ দিয়ে বাস্তবিক উদাহরণ দেয়ার কথা, সেখানে মানুষ আমাদেরকে ব্যবহার করে। আমরা তো আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের গতিতেই কাজ করে যাই। ঘুষ দিয়ে গতি বাড়ানো তো দূরের কথা, আমরা ঘুষ চিনিও না।'

বনের রাজা হওয়ায় অবৈধভাবে মাংসের ভাগ বেশি নেয়ার গল্পটিতেও সিংহদের অপমান করা হয়েছে বলে মত দেন এক সিংহ। তিনি বলেন, 'ক্ষমতা ও শক্তি আছে বলেই আমরা তার অব্যবহার করি না। আমরা মানুষের মতো এত লোভী না।'

মানুষের তৈরি এইসব গল্প পড়ে অনেক বন্যপ্রাণী ইদানিং মানুষের মতো খারাপ ও চরিত্রহীন হয়ে যাচ্ছে বলে সভায় মতানৈক্যের পৌঁছায় সবাই।

৮৯০ পঠিত ... ১৫:১১, জানুয়ারি ০৬, ২০২১

Top