রাত ১০টা পর্যন্ত বাইরে চলাচলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো মোহাম্মদপুর ছিনতাইকারী সংঘ

৪৫০ পঠিত ... ১৯:৫৬, জুলাই ০৪, ২০২০

বড় বড় চোর, ছিনতাইকারীদের পাশাপাশি ছোট ও ছিঁচকে চোর, ছিনতাইকারীদের প্রতিও নজর দিচ্ছে সরকার। বুক ভরা সন্তুষ্টি নিয়ে এমনটাই বললেন মোহাম্মহদপুরের প্রবীণ ছিনতাইকারী মোখলেস। সরকারের দায়িত্বশীল আচরণের এমন আরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোহাম্মদপুর ছিনতাইকারী সংঘ। সম্প্রতি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তৃতীয় দফায় জনসাধারণের চলাচলের নিয়ম পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ। জনসাধারণের চলাচলের উপর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মোহাম্মদপুর ছিনতাইকারী সংঘ।

কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে আবারো আগুন জ্বলবে ছিনতাইকারীদের চুলায়। রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকায় আবারো কাজে ফেরা যাবে, সীমিত হলেও কিছু টাকা আয়রোজগার করে বউ বাচ্চা নিয়ে খেয়ে পরে দিন কাটিয়ে দেয়া যাবে।

বর্তমান সরকারকে রাতের আঁধারে রাজ্যের মানুষের সুখ দুঃখ দেখতে বেরিয়ে পড়া বিখ্যাত এক শাসকের সাথে তুলনা করে এক ছিনতাইকারী বলেন, 'সেই তো অভিভাবক, যে আমার মতো ছিনতাইকারীর অধিকার নিয়েও ভাবে। তাদের বেঁচে থাকা নিয়েও ভাবেন। আমাদের তো আসলে বলার কোন জায়গা নেই। এই সরকার আমাদের মায়ের মতো, না বললেও আমাদের কষ্টটা বুঝেছেন।'

অনেকদিন পর কাজে ফিরে বেশ উৎফুল্ল একজন বলেন, 'টুকটাক গণপরিবহন চলায় আমাদের পকেটমার বন্ধুরা আগেই কাজে ফিরেছে। আমরা কাজে ফিরতে না পারায় বেশ খারাপ লাগছিলো। আর কিছুদিন এভাবে থাকলে হয়তো দিনেই কাজে নামা লাগতো।'

মোহাম্মদপুর ঘুরে ছিনতাইকারীদের সাথে আলাপ করতে করতে প্রায় রাত ১২টা বেজে যায়। সর্বশেষ ছিনতাইকারীর ইন্টারভিউ নিতে গেলে তিনি বলেন, 'রাত ১০টার মধ্যে কাজ সারতে যদিও কিছু রিস্ক থেকে যায়। তাও সরকার আমাদের জন্য এইটুকু করেছে তাতেই আমরা খুশি। ৮টার দিকে ছিনতাই করা একেবারে অসম্ভব হয়ে গেছিলো। সরকার ১০টা করলেই তো আপনাদের মতো কেউ কেউ সেটাকে ১১টা-১২টা বানাবেই। তাইলে আর কি, ১২টা যখন বাজিয়ে ফেলেছেন, পকেটেরও ১২টা বাজান। যা যা আছে বের করেন...'

৪৫০ পঠিত ... ১৯:৫৬, জুলাই ০৪, ২০২০

Top