ছারপোকার কামড় ছাড়া ঘুম হচ্ছে না, হলে ফিরতে চায় শিক্ষার্থীরা

১০৬৬ পঠিত ... ২০:৪৬, জুন ০৬, ২০২০

সে অনেক আগের কথা। কবি বলেছিলেন, 'ছারপোকার কামড় ছাড়া ঘুম আসে না। একলা জেগে রই। মাগো আমার বিদেশ থাকা হল প্রভোস্ট কই!’

কবিতার এই মর্মকথা এতদিনে বুঝতে পারলেন ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আড়াই মাস ধরে ক্লাস বন্ধ, হল ভ্যাকেন্ট। ভার্সিটির হলে থাকা শিক্ষার্থীরা পড়ে আছেন বাড়িতে, শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন ঘরের খাটে। কিন্তু এতেই নাকি দেখা দিয়েছে ঝামেলা। অদ্ভূত নিদ্রাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন অনেক শিক্ষার্থীই। জানা গেছে, ছারপোকার কামড় না থাকার জন্যই নাকি ঘুমের এমন সমস্যা।

এ ব্যাপারে ভোর পাঁচটায় কথা হয় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। শুভ সকাল জানিয়ে আমরা তার মন্তব্য জানতে চাই। তিনি রেগে গিয়ে বলেন, 'ধুর মিয়া! শুভ সকাল পাইলেন কই। এখনও ঘুমাই নাই। পাশের বাড়িতে ছারপোকা খুঁজতে গেছিলাম। পাই নাই। আপনার কাছে কিছু ছারপোকা হবে ভাই?' 

ঢাবির মহসিন হলের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘ভাই সারারাত এপাশ-ওপাশ করি, ঘুম আসে না। সেদিন না পাইরা বিছানায় কিছু পিঁপড়া ছাইড়া দিছি। কিন্তু ছারপোকার কামড়ের আরাম কি আর পিঁপড়া দিতে পারে, বলেন?’

এছাড়া পাবলিক ভার্সিটির হলে থেকে অভ্যস্ত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘুমের ওষুধ কেনার হার বেড়ে গেছে বলে জানা যায় ফার্মেসি মালিকদের কাছ থেকেও।

গ্রামগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়ির আশেপাশে অনেক জোনাকি পোকা আলো ছড়াচ্ছে। পরে কাছে গিয়ে বোঝা গেল, কয়েকজন ফেসবুক চালাচ্ছেন। মন্তব্য নিতে চাইলে একজন বলেন, 'ছারপোকার অভাবে ঘুম আসে না। ঘরের মধ্যে নেটওয়ার্ক পাই না ঠিকমতো। তাই বাইরে বসে ফেসবুক চালাই।'

পাশেরজনের কাছে মন্তব্য নিতে চাইলে তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। চোখ বন্ধ করে তিনি বলেন, 'আহা! সেসব দিন। রাতে লাইট নেভালে তারা আমার কাছে চলে আসতো। কুটুস করে কামড়াত। তারপর ঘুমে তলিয়ে যাইতাম। ভিসি স্যারকে অনুরোধ করছি, স্যার, প্লিজ হলগুলো খোলেন। আমাদেরকে বাঁচান। কতদিন যে আরাম কইরা ঘুমাই না!'

পাশ থেকে ‘পমান’ দিলেন আরেকজন ভুক্তভোগী, 'এই দেখেন। হাতের ঠিক এই জায়গাটায় ছাড়পোকা কামড়াইতো। এই জায়গাটা তাদের প্রিয় ছিল। না জানি তারা কেমন আছে! কোথায় আছে! ভিসি স্যারকে বিনীত অনুরোধ। হল খুলে দেন। নাহলে এরকম না ঘুমাইতে ঘুমাইতে মারা যাব। করোনা লাগবে না!'

১০৬৬ পঠিত ... ২০:৪৬, জুন ০৬, ২০২০

Top