করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে চিপসের প্যাকেট

৪০৮ পঠিত ... ২০:৫৫, জুন ০৩, ২০২০

গত কয়েকদিন ধরে দেশে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চিপসের বেচাকেনা। বস্তায় বস্তায় চিপসের প্যাকেট সংগ্রহ করে মজুদ করছেন মানুষ। যারা বস্তা কিনতে পারছেন না তারা জমাচ্ছেন একটি একটি করে। চিপসের প্যাকেট সংগ্রহের এমন আউটব্রেকের পেঁছনের কারণ খুঁজতে গেলে করোনা চিকিৎসার সাথে চিপসের প্যাকেটের সম্পর্কের এক আশাজাগানিয়া তথ্য eআরকির অনুসন্ধানী দলের হাতে আসে। তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে চিপসের প্যাকেট।

বাংলাদেশ টি-স্টল গসিপ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একদল চুমুক বিজ্ঞানী চায়ে চুমুক দিতে দিতে এই আশাজাগানিয়া চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারক টিমকে নেতৃত্ব দেয়া ৬৫ বছর বয়স্ক জয়নাল মিয়া বলেন, 'শুনছি করোনা চিকিৎসায় বাতাসওয়ালা ভেন্টিলেটর না কী একটা লাগে। ওইটা দিয়া রোগীকে বাতাস দিলে রোগী নাকি ভালো হইয়া যায়। তখনই আমার মাথায় চিপসের প্যাকেটের কথা আসে। চিপসের প্যাকেটের ভিত্রে তো সবই বাতাস। পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর না থাকলে চিপসের প্যাকেট দিয়া তো কাজ চালানোই যায়।'

অক্সিজেনের বাতাসের চেয়ে চিপসের প্যাকেটের বাতাস টেস্টি ও সল্টি হওয়ায় চিকিৎসা নিয়া বেশ মজা পাওয়া যায় বলেও জানান জয়নাল মিয়া।

টিমের অন্য এক নেতৃত্ব স্থানীয় সদস্য ৬০ বছর বয়সী অবসর প্রাপ্ত মুদি দোকানদার রহমান মিস্ত্রী এক চাপে চিপসের প্যাকেটের বাতাস দিয়ে চুল উড়িয়ে আমাদের বলেন, 'দেখেন দেখেন কত বাতাস! আর এরা নাকি বলে দেশে ভেন্টিলেটর নাই, কিনতে নাকি হাজার কোটি টাকাও লাগবো। আসলে সবই টাকা খাওয়ার ধান্ধা।'

চিপসের প্যাকেটের বাতাস নিয়ে ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজন পরিচিত সুস্থ হয়েছে বলেও দাবি করেছে গবেষক দলটি। দলের অন্য এক সদস্য তাহের মিয়া বলেন, 'আমার ছেলের সমুন্ধির শশুরের খালাতো ভাইকে আইসিইউ থেকে বাইর কইরা দিছে। ডাক্তার কইছে বাঁচবো না। পরে আমার পরামর্শে চিপসের প্যাকেটের বাতাস নিয়ে এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ। বিশ্বাস না হলে জয়নাল ভাইকে জিগান।'

তাহের মিয়ার কথায় সায় দিয়ে জয়নাল মিয়া সহ টিমের বাকিসব সদস্য চিপসের প্যাকেট চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া নিজেদের একটি করে আত্মীয়ের গল্পও শোনান।

৪০৮ পঠিত ... ২০:৫৫, জুন ০৩, ২০২০

Top