তদন্ত কমিটি'কে ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলো 'সীমিত পরিসর'

৪৮৬ পঠিত ... ২২:২৮, মে ২৮, ২০২০

বিগত দশকে বাংলার অফলাইন-অনলাইন জুড়ে সবচেয়ে বেশিবার চর্চিত শব্দযুগল ছিলো 'তদন্ত কমিটি'। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রকপে বিশ্বের অনেক হিসেব-নিকেশ বদলে যাওয়ার পাশাপাশি নিজের অবস্থান হারিয়েছে এই শব্দযুগলও। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, এই দশকের শুরু থেকে এ পর্যন্ত একবারের জন্যও দেশে 'তদন্ত কমিটি' শব্দযুগল উচ্চারিত কিংবা লিখিত হয়নি। এদিকে প্রথমবার পরিচিত হয়েই বলতে গেলে একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় 'সীমিত পরিসর' শব্দযুগল 'তদন্ত কমিটিকে' হারিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে ফেলেছে।

বাংলাদেশের সরকারি অফিস থেকে শুরু করে বেসরকারি টেলিভিশন, পত্রিকা, ফেসবুকের ওয়াল কিংবা মানুষের আড্ডা; সব জায়গায় সমানতালে উচ্চারিত হচ্ছে 'সীমিত পরিসর' শব্দদ্বয়। গুগল ও eআরকির যৌথ এক অনলাইন জরিপে দেখা গেছে, টানা ২ মাস যাবত প্রতিদিন গড়ে ১০০ বার করে এই শব্দযুগল নিয়ে কথা বলেছে মানুষ। গুগল ইতোমধ্যে সীমিত পরিসরে এই শব্দযুগল নিয়ে একটি ডুডল করার কথাও ভাবছে। এদিকে 'সীমিত পরিসর' শব্দযুগলের জনপ্রিয়তার কারণে 'সীমিত পরিসর' নামে একটি সাবরিয়্যাক্ট বাটন আনার কথা ভাবছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

'তদন্ত কমিটি'র এমন ছন্দপতনে বেশ মুষড়ে পড়েছেন এর সাথে সম্পৃক্ত লাখ লাখ মানুষ। বাংলাদেশ তদন্ত কমিটি অ্যাসোসিয়েশন (বিটাক) নিজেদের কর্মীদের এমন মানবেতর জীবনযাপনের কথা উল্লেখ করে সরকারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এইসময় বিটাকের সভাপতি বলেন, 'তদন্ত কমিটি'র জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আমাদের নাম উচ্চারণও বন্ধ হয়েছে। টিভি, পত্রিকা, সরকারি নথি কোথাও আমাদের নাম আর আসে না। এমনকি ফেসবুকেও আমাদের নিয়ে আর ট্রল হয় না। নিজেদেরকে বেকার মনে হয়। এমনকি অনেকে বেকার বলে বাসা থেকেও ভৎসনার শিকার হচ্ছে।'

'তদন্ত কমিটি'শিল্প ও এর সাথে সম্পৃক্ত মানুষদের কর্মস্পৃহা ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে বিটাকের সভাপতি বলেন, প্রয়োজনে 'সীমিত পরিসর' শব্দযুগলের জনপ্রিয়তার পেছনের সত্য উদঘাটনের জন্যও হলেও একটা 'তদন্ত কমিটি' করা হোক।

৪৮৬ পঠিত ... ২২:২৮, মে ২৮, ২০২০

Top