পরপর কয়েকটা সংঘর্ষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এগিয়ে যাওয়ায়, ট্রেন্ডিং-এ টিকে থাকতে কিছু একটা করতেই হতো নোয়াখালীকে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিংবা আলোচিত জেলার তকমাটা যে চলেই যাচ্ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছে! অতঃপর গত ২৮ এপ্রিল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নোয়াখালী। দুপুর থেকে রাতের সেশনে পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে চরহাজারি গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষ, প্রথম দিনেই আহত ১৫। খবর: ডেইলি স্টার।
এই সংঘর্ষের ফলে বিএনসিসি-তে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথাও জানান দিলো নোয়াখালী। সংঘর্ষ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে বিএনসিসি নোয়াখালী অঞ্চলের সমন্বয়ক জানান, 'টানা আলোচনার বাইরে থাকার ফলে বিএনসিসি-তে আমাদের অবস্থান হারানোর একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। এই সংঘর্ষে আমাদের অঞ্চলের ছেলেরা আবারো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। আশা করছি সামনেও দারুণ কিছু হবে।'
আশার আলো দেখছেন 'নোয়াখালী বিভাগ চাই (নোবিচ)' আন্দোলনের নোয়াখালীর বাইরের জেলার সমর্থকরাও। নোবিচ আন্দোলনের এমনই এক শুকনো ফ্যান জানান, কয়দিন ধরে সব জায়গায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সেলিব্রেটি দূরে থাক, কোন জুনিয়র সেলিব্রেটির কমেন্ট বক্সেও 'নোয়াখালী বিভাগ চাই' কমেন্ট দেখলাম না। নোবিচের এমন অফফর্মে আমরা বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখনকার ফর্ম দেখে মনে হচ্ছে, নোয়াখালী বিভাগ এবার হয়েই যাবে।
পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ কিছুটা মেইনস্ট্রিম ও গড়পড়তা হয়ে গেছে গেছে বলেও জানান নোয়াখালী দলের এক সংঘর্ষক। পরেরবার নোয়াখালী লিখতে ই-কার হবে নাকি ঈ-কার এমন অসাধারণ কিছু কারণ নিয়ে সংঘর্ষ অনুষ্ঠিত করার আশ্বাসও দেন তিনি।