সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে ভারি বস্তুর নাম প্রকাশ করেছে ত্রাণাচুয়েটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (টিআইটি)। নিজেদের ওয়েবসাইটের একটি গবেষণা প্রবন্ধে বাংলাদেশের ত্রাণের পোটলাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভারি বস্তু বলে দাবি করেছে তারা। ত্রাণের পোটলার ৫ কেজি ওজনের এক পোটলার ভার বহন করতে কমপক্ষে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দরকার হয় বলেও দাবি করা হয় গবেষণাটিতে।
২০১২ সালের মার্চে ঢাকার এক ত্রাণবিতরণ অনুষ্ঠানের ছবিতে ৫০ জনকে একটি ত্রাণের প্যাকেট উঁচিয়ে ধরে থাকতে দেখে কৌতুহল জাগে ৭ সদস্য বিশিষ্ট গবেষক দলটির দলনেতার। এরপরই তিনি নেমে পড়েন এর রহস্য উন্মোচনে। eআরকির এক প্রতিনিধিকে তিনি আরো জানান, 'আমরা শুরুতে বেশ অবাক হয়েছিলাম। ৫০ জনকে একই ত্রাণের পোটলা তুলতে দেখে ভেবেছিলাম, এই ত্রাণ সম্ভবত মহাকাশের অন্য কোনো গ্রহ থেকে এসেছে, এলিয়েনরা পাঠিয়েছে। এরপর যোগাযোগ করি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাথে। তারা জানায়, অতি সম্প্রতি তাদের রাডারে কোন ফ্লাইং সসার ধরা পড়েনি। তারপর আমরা শুরু করি উচ্চতর গবেষণা, লেগে পড়ি রহস্য উন্মোচনের পথে।'
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ১ লক্ষ ত্রাণের পোটলার উপর গবেষণা চালান তারা। গবেষণায় তারা দেখেন, প্রতিটি ত্রাণের পোটলা উঠিয়ে ধরতে একপাশে মিনিমাম ১০ জন ও অন্যপাশে মাত্র ১ জন থাকে। মোট ১১ জন থাকার একা পাশের জন একদম পর্যদুস্ত হয়ে পড়ে। যাকে বলে একেবারে 'ভারে নুইয়ে পড়া'। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়ান্ট ত্রাণের পোটলা ধরতে লাগে ৫০ জনের মতো।
গবেষণা বেশ কিছুদিন আটকে থাকলেও সম্প্রতি করোনার সময়ে কিছু ত্রাণের পোটলায় তাদের গবেষণায় গতি পেয়েছে। যার ফলে গতকালকেই টিআইটি তাদের গবেষণাটি প্রকাশ করতে পেরেছে।
এই গবেষণার পক্ষে যুক্তি দেন একজন ফেসবুক সমাজবিজ্ঞানীও, 'পারলে এমন একটা ছবি বের করে দেখান, যেইখানে ত্রাণের পোটলা, তা যতই ছোট হোক, একা একজন শুধু ধরে কাউকে দিতেছে। এটা দিতে এতজন লোক কেন লাগে? এতেই তো বুঝা যায়, এত গবেষণা লাগে নাকি!'
