২০২০ সালে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার করার দাবি তুললেন চাকরিজীবীরা

১২২৬ পঠিত ... ২২:৩৫, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

ঘুম-অফিস-খাওয়া-ঘুম-অফিস এই দিনচক্র যাপন করা মানুষজন প্রতিবার বছর আসার আগেই সামনের বছরে এই চক্র থেকে বের হওয়ার দিনক্ষণ দেয়ালে সেঁটে দেন অনেক যত্নে। কিন্তু ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার নিয়ে বসার পর রীতিমত মত হতাশই হতে হলো সবাইকে। একটা বছরের ৮টা সরকারি ছুটি যদি সাপ্তাহিক ছুটির গহ্বরে বিলীন হয়ে যায়, হতাশ তো হওয়ারই কথা।

তবে হতাশ হয়ে তারা বসে থাকেননি। কাঁধে অফিস ব্যাগ নিয়েই নেমে পড়েছেন আন্দোলনে। দাবি তুলেছেন, ২০২০ সালের সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার করার। আন্দোলনরত একজন বলেন, 'এটা কোন ইনসাফের কথা না ভাই। ফ্রেন্ড, জাস্টফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড, বউ কতজনের সাথে আমরা ট্যুরের স্বপ্ন দেখছিলাম। প্ল্যান প্রোগ্রাম সব রেডি... (দীর্ঘশ্বাস)। সেই স্বপ্নকে এভাবে গালগল্প করে দেয়ার কোন মানে নাই। ছুটি আমরা রবিবারেই চাই।'

অন্য একজন মাননীয় মন্ত্রী হাসান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, 'রবিবার ছুটি করা তো দেশের জন্যই ভালো। উন্নত দেশের সাথে আমাগো আরেকটা মিল হইলো! এবার ছুটির দিক দিয়ে আমরা ইউরোপ-আমেরিকাকে ছুঁতে পারলাম। হাসান মাহমুদ স্যার, বিষয়টা আপনি ভেবে দেখবেন প্লিজ!'

একটু এগ্রেসিভ হয়ে এক চাকরিজীবী জানান, 'দাবি না মানলে আর কী হইবো! নিয়মিত বিরতিতে জীবিত আত্মীয়দের কয়েকবার করে মৃত ঘোষণা করা লাগবো। আমার এই মিথ্যা বলার দায়ভারও কিন্তু কইলাম সরকারকেই নিতে হইবো।'

তবে দেশের বেশ কিছু বায়িং হাউজ ও মাল্টিন্যাশনাল অফিসের কর্মীরা এই দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান করেন। তারা জানান, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবারই ঠিক আছে। সব কিছুতে ইউরোপ আমেরিকা হইতে হবে ক্যান? কিছু নিজস্বতার দরকার আছে। যদিও আন্দোলনরত কেউ কেউ বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের চাকরিজীবির ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশকারী অফিসের বস বলে দাবি তোলেন।

অফিসের সময় হয়ে যাওয়ায় আন্দোলনরতরা অফিসের দিকে চলে যাওয়ার পরও অল্প কিছু লোককে স্লোগান দিতে দেখা যায়। স্লোগান দেয়ার এক পর্যায়ে ‘আমরা তো বেকার, ছুটি শুক্রবার হইলেই কী, আর ছুটি আদৌ না থাকলেই বা কী?’ বুঝতে পেরে তারাও রাজপথ ছেড়ে যান!

১২২৬ পঠিত ... ২২:৩৫, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

Top