স্পিড গান যন্ত্রটি অনেকটা মুভি ক্যামেরার মতো দেখতে, যা দিয়ে বেশ দূর থেকেই যানবাহনের গতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। হাইওয়েতে দুর্ঘটনা কমাতে এবং যানবাহনের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শুরু হয়েছে স্পিড গানের ব্যবহার। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত গতির যানবাহনগুলোকে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। খবর: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর হার কমাতে স্পিড গানের ব্যবহার অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে এই অন্যধরনের 'বন্দুক'টি নিয়ে যাত্রীদের মাঝে দেখা গেছে নানান রকম কৌতূহল। সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরা এক যাত্রী জানান, 'বাস থেইকা বাইরে তাকায়ে দেখি এক পুলিশ ভাই হলিউড সিনেমার মতোন বিরাট এক বন্দুক তাক কইরা রইছে। ভয়ে আমি চিল্লায় উইঠা জানালা আটকায় দিলাম। ড্রাইভার ভয় পাইয়া দিছে আরও জোরে টান। পরে শুনি এইটা নাকি স্পিড মাপার যন্ত্র!'
এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন একজন বাস ড্রাইভারও, 'বাস চালাইতে চালাইতে দেখি পুলিশে বন্দুক তাক করছে। ভয়ের চোটে একশর উপ্রে স্পিড তুইলা দিলাম। পরে বাস থামায়া স্পিডের জন্য জরিমানা দেয়া লাগলো! কি আজিব বন্দুক!'
তবে বেশ কিছু যাত্রী মনে করেন, হাইওয়েতে বাসগুলোর বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্পিড গানেও কাজ হবে কিনা সন্দেহ আছে। জানালেন নিয়মিত এনা বাসে চড়া এক যাত্রী, 'স্পিড গান দিয়ে বাসের গতি কন্ট্রোল করা যায়। কিন্তু আমাদের হাইওয়েতে যেগুলা চলে সেগুলা তো বাস নাই ভাই, রকেট! এইগুলার স্পিড কন্ট্রোল করতে "স্পিড রকেট লঞ্চার" বা "স্পিড কামান" টাইপ কিছু আনলে কাজ হইতে পারে।'
এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এনা বাসের একজন ড্রাইভার বলেন, 'স্পিড গান? এইটা কী জিনিস? গাড়ি বেশি স্পিডে চালাইলে কি গুলি কইরা দিবো?' তাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা হলে তিনি জানালেন, 'আসলে বাস এত জোরে চলে, চলার সময় আশেপাশের কিছু স্পষ্ট দেখা যায় না, সব দেখি ঝাপসা। সেইজন্য খেয়াল করি নাই।'