মশা মারতে কয়েল ও অ্যারোসলের পর এবার ঝাড়ু আনছে মারটিন

৯৫৭ পঠিত ... ১৯:৫৮, আগস্ট ০৬, ২০১৯

কয়েল, অ্যারোসল ও মসকিউটো লিকুইড ভেপোরাইজারের পর বিশ্বখ্যাত কোম্পানি 'মার্টিন' এবার মশা প্রতিরোধে নিয়ে এলো এক অভিনব পণ্য, মশা মারার ঝাড়ু। পরীক্ষামূলকভাবে এই পণ্যটি আগামী দুই মাস শুধুমাত্র বাংলাদেশেই বাজারজাত করা হবে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানান মার্টিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

গত মাসখানেক সময় ধরে বাংলাদেশে তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। আর সেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা জনমনে সৃষ্টি করেছে আতংক। কয়েলের ধোঁয়া, অ্যারোসল এবং ফগার মেশিন একের পর এক অকার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছিল সকলের কাছে। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে মার্টিন নিয়ে আসে মশা মারার অব্যর্থ অস্ত্র, ঝাড়ু। 

মার্টিন কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুততম সময়ের মাঝে তারা এই প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে এসেছে। এ প্রসঙ্গে মার্টিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘সেদিন টিভিতে দেখলাম পরিষ্কার রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে এডিস মশা নিধন করছেন বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্বরা। তা দেখেই আমাদের গবেষক দল বসে গেল, এটি নিয়ে। টানা দুই রাত নিরলস পরিশ্রম করে তারা ফর্মুলা বের করামাত্রই আমরা প্রোডাকশনে চলে গেলাম! বাংলাদেশের জন্য এটুকু আমরা করতেই পারি।’ বাংলাদেশ ও মার্টিনের মধ্যকার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন ঢাকা থাকবে, ততদিন থাকবে মশা। এতদিন ধরে তো কম কয়েল অ্যারোসল বিক্রি হয়নি সেখানে… আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার সেটি। তাই বাংলাদেশের সংকটে আমরা পাশে দাঁড়াতে একটুও সময় নিইনি।’

মার্টিনের পক্ষ থেকে এই আবিষ্কারকে তাদের ইতিহাসের সেরা আবিষ্কার হিসেবে বলা হয়েছে। মশা মারার ঝাড়ু কীভাবে কাজ করবে সে ব্যাপারেও জানিয়েছে মার্টিন কর্তৃপক্ষ। পরিষ্কার পানিতে যেমন এডিস মশা কার্যকর হয়, তেমনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরবাড়ি, রাস্তা, মাঠঘাটে একটিভ হবে এই ঝাড়ু। পরিষ্কার ঘর ঝাড়ু দিলেই দূর হয়ে যাবে মশা। কোন ময়লা-আবর্জনা ফেলে নোংরা করে নেওয়ার প্রয়োজন নেই একদম। তবে আরও জানানো হয়েছে, অবশ্যই ক্যামেরা থাকা লাগবে ঘটনাস্থলে। যত ভালো ক্যামেরা, এডিস মশানিধন ততটা কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

অনির্ভরযোগ্য কিছু সূত্রে আরও জানা গেছে, কেসিআই, ওভার এন্ড আউট, হেইট-সহ অন্যান্য কোম্পানিগুলোও এই প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে আসার কথা চিন্তা করছে। তবে প্রযুক্তিটির পেটেন্ট কার তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা থেকে যাওয়ায় এখনই উৎপাদনে যেতে পারছে না কোম্পানিগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেসিআই কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এফডিসির পক্ষ থেকে মশা মারার ঝাড়ুর পেটেন্টের আবেদন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে। আর মার্টিন জানিয়েছে, পেটেন্ট এফডিসি পেলে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে সেটি কিনে নিতেও রাজি আছে।

৯৫৭ পঠিত ... ১৯:৫৮, আগস্ট ০৬, ২০১৯

Top