বাঙালি দ্বারা এবার বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে ইংরেজি ভাষাতেও। ভাষাগত সংগ্রামের নতুন ধাপ হিসেবে একদল বিশিষ্ট নাগরিক ইংরেজি ভাষা থেকে Common এবং Neuter gender মুছে ফেলার দাবি তুলেছেন। তাদের মতে, ছোটবেলা থেকে এসব শিখিয়ে আমাদের আলোর পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই প্রকার—নারী এবং পুরুষ বাদে অন্য কোনো লিঙ্গ কোনোদিন ছিলো না এবং সৃষ্টিও হবে না।
আষীফ নামে এক বিপ্লবী নেতা বলেন, Common Gender আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক শিক্ষা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে সবাই যখন Teacher, Doctor বা Student—এই ধরনের অবাধ পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে, তখন কীভাবে বোঝা যাবে কে নারী আর কে পুরুষ? কমন জেন্ডারের ন্যারাটিভে এখানে চাপা পড়ছে আসল জেন্ডার। সেই সাথে এর সুবিধা নিয়ে একদল বিপথগামী মানুষ পরিচয় বিকৃত করে নিজেদের নারী পুরুষের বাইরে ভিন্ন লিঙ্গ বলে দাবি করছে। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।
Neuter gender সম্পর্কে সচেতন নাগরিকদের ভাবনাটই বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং আশা জাগানিয়া। খ্যাতনামা এক ভাষাবিজ্ঞানী বলেন, পৃথিবীতে সব জীবেরই দুটো লিঙ্গ, হয় নারী, নাহয় পুরুষ। এর মাঝামাঝি কোনো জায়গা নেই।
‘Table’, ‘Chair’ ইত্যাদি জিনিসগুলো পুরুষ নাকি নারী এ প্রশ্নের উত্তরে স্যার বলেন, তারা যেহেতু 'জীবন' পায়নি, তাই তারা কোনো জেন্ডার পেতে পারে না—এটাই আসল কথা। লিঙ্গ ছাড়া কেউ লিঙ্গ চ্যাপ্টারে জায়গা পাবে না। যেদিন চেয়ার, টেবিলে লিঙ্গ নিয়ে জন্মাবে, সেদিন আমরাও তাদের বইয়ের পাতায় জায়গা করে দেব। অবশ্য 'He' chair, 'She' chair এভাবেও আগানো যায়। আমরা আরেকটু চিন্তা ভাবনা করে ফাইনাল আপডেট দিচ্ছি।
যতটুকু জানা যায়, ভাষার এ সংস্কার শুধুমাত্র জেন্ডার পর্যন্তই নয়, সামনে আসছে আরও বিশাল কিছু। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ইংরেজির অন্যান্য জটিল লিঙ্গ নির্ধারণকারী শব্দ, যেমন, they বা it এগুলোও বাদ দেবার কথা ভাবছেন সুচিন্তকরা।
বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, সব জায়গায় 'He' আর 'She' থাকলেও যেহেতু নারীকে বানানো হয়েছে পুরুষের বুকের পাঁজর দিয়ে, তাই সব ক্ষেত্রে আগে থাকবে ‘He’...