অ অ্যাক্সিডেন্ট করে ক্র্যাচ নিয়ে হলে গেল আ : বাংলা বর্ণমালার উৎপত্তির যে ইতিহাস জানলে আপনি অবাক হবেন

৩৬২৭ পঠিত ... ১৮:১৪, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭


বাংলা বর্ণমালা কোথা থেকে এসেছে? এ নিয়ে নানা ভারী ভারী প্রবন্ধ পাবেন। কিন্তু সেসব পড়তে গেলে আপনার মাথা গুলিয়ে যাবে, ঘুম পাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারবেন না আপনি আসলে বর্ণমালা কোথা থেকে এসেছে। তাই বর্ণমালা বিষয়ে উৎসাহী পাঠকদের কথা মাথায় রেখে এখানে বর্ণমালার উৎপত্তি সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো।



‘অ’ একদিন রাস্তা দিয়ে একা হাঁটছে। কবিত্ব ভর করেছে মাথায়। হাঁটতে হাঁটতে তাই  একবার তাকাল আকাশের দিকে। শরতের নীল আকাশ দেখে ভাব এসে যাচ্ছে। সামনে ম্যানহোল, কোনো খেয়ালই নেই। ধপাস! তারপর? পারমানেন্ট রোগী হিসেবে ‘অ’ পঙ্গুতে ছয় মাস কাটিয়ে বেরিয়ে এল বগলে একটা ক্র্যাচ নিয়ে। ক্র্যাচ ছাড়া হাঁটতে পারে না। সেই থেকে শরীরের বাঁ পাশে একটা ক্র্যাচ লাগিয়ে ‘অ’ পরিচিত হলো ‘আ’ হিসেবে।



‘ই’-এর মাথায় সর্বসাকল্যে একটাই চুল। তবুও মাথা ভরে গেছে খুশকিতে। অ্যান্টি ড্যানড্রাফ ব্যবহার করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। খুশকি রয়েই গেছে। সেই খুশকি নিয়ে যখন ‘ই’ হিমশিম খাচ্ছে, তখন একজন বুদ্ধি দিল ওই চুলটাও কেটে ফেলতে। খুশকি থেকে বাঁচার আশায় ‘ই’ তা-ই করল। তাতে খুশকি থেকে সে বাঁচতে পেরেছিল কি না জানা যায়নি, কিন্তু চুলবিহীন ‘ই’ রূপান্তরিত হয়ে হলো ‘হ’-তে।



‘য’ একজন সুগৃহিণী। সুখেই তার দিনকাল কাটছিল। কিন্তু ইদানীং মাঝেমধ্যেই তার পেটটা ব্যথা করে। প্রথমে ব্যথার স্থায়িত্ব কম থাকলে পরের দিকে ব্যথাটা সহ্যের বাইরে চলে এল। ‘য’র হাজব্যান্ড তাকে নিয়ে গেল চিকিত্সকের কাছে। চিকিত্সক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানালেন, ‘য’-এর অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন করতে হবে। করা হলো অপারেশন। ‘য’ তার কাটা পেট নিয়ে রূপ বদলে হলো ‘ষ’।



‘এ’ লোকটা খুব নোংরা। সাত দিনে ইচ্ছে হলে এক দিন গোসল করে, দাঁতও তেমন একটা নিয়মিত মাজে না। এ রকম নোংরা থাকায় খুব স্বাভাবিকভাবেই নানা ধরনের চর্ম রোগ তার শরীরকে আক্রান্ত করে। একদিন ‘এ’র পিঠটা কেমন জানি একটু ব্যথা করতে লাগল। দেখতে দেখতে ব্যথা বেড়ে গেল এবং ‘এ’র পিঠ ফুঁড়ে বের হলো ফোঁড়া। পিঠে ফোঁড়া নিয়ে ‘এ’ হলো ‘ঞ’।



‘ম’ সাহেব বেশ ভালো লোক বলে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। একদিন কোনো এক কুক্ষণে তাঁর মাথায় বুদ্ধি চাপল, তিনি রাজনীতিতে নামবেন। বিস্তর টাকা-পয়সা খরচ করে তিনি সরকারি দলের একজন বড় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন। অনেক দিন রাজনীতিও করলেন। কিন্তু তিনি আর সেই ভালো মানুষটি রইলেন না। নানা ধরনের প্যাঁচে পড়ে পড়ে তাঁর পেটেও চলে এল জটিল জিলাপির প্যাঁচ। সহজ সরল ‘ম’ সাহেব পরিণত হলেন ‘ক্ষ’তে।



‘ব’ একটু দুষ্টুপ্রকৃতির বালক। খুটখাট নানা ধরনের কাজ করে আশপাশের লোকজনকে সে সর্বদাই ব্যতিব্যস্ত করে রাখে। পড়াশোনায় একদমই মনোযোগী নয়। একদিন ‘ব’-এর মাথায় বুদ্ধি চাপল, মানুষ হাতির মতো নয় কেন, নিজের নাকে যদি একটা শুঁঁড় লাগানো হয়, তাহলে কি দেখতে সে হাতির মতো হবে? যেমন ভাবা তেমন কাজ। একদিন ‘সুপার গ্লু’ দিয়ে পারমানেন্টলি সে একটা শুঁড় তার নিজের নাকে বসিয়ে ফেলল। ‘ব’ দেখতে হলো ‘ধ’।

৩৬২৭ পঠিত ... ১৮:১৪, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭

Top