বাংলাদেশ যে ১০টি উপায়ে পাঁচদিন ধরে টেস্ট খেলতে পারবে

১০৩৫ পঠিত ... ২১:৫৪, নভেম্বর ২৬, ২০১৯

টেস্ট ক্রিকেট পাঁচদিনের খেলা। তবে বাংলাদেশের জন্য সবসময় এটা সত্যি না। সাধারণত তিন দিনেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ। প্রচলিত ক্রিকেটীয় পদ্ধতির কিছু প্রয়োগ করেই বাংলাদেশ দলকে পাঁচদিন মাঠে টেকানো যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় উপায় কী? দিশেহারা হয়ে ভাবতে বসেছিল eআরকিই। আমরা খুঁজে বের করেছি যেকোনো টেস্ট ম্যাচকে পাঁচদিনে নিয়ে যাওয়ার ১০টা সুপার নিনজা টেকনিক। নিচের সিস্টেমগুলো অথবা যেকোনো একটা করতে পারলে, পাঁচদিন টেস্ট খেলা বাংলাদেশের জন্য কোনো ব্যাপারই না।


১# বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ে নামার সময় বল ও স্ট্যাম্পের ভেতর বিকর্ষণী চুম্বক লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে। এরপর একটা বলও আর স্ট্যাম্প বরাবর আসবে না। খালি বুদ্ধি করে বাইরে বের হয়ে যাওয়া বলে ব্যাটের খোঁচা না লাগালেই নিশ্চিন্ত মনে পাঁচদিন পার।

২# টেস্টের চার ইনিংসই একই মাঠে হয়! এটা একেবারে বে-ইনসাফি। বাংলাদেশ নতুন সিস্টেম চালু করতে পারে। টেস্টের চার-ইনিংস হবে দু’টি মাঠে। সম্ভব হলে একটা বাংলাদেশে, একটা প্রতিপক্ষের দেশে। মাঝে দুই মাঠে আসা যাওয়ার দিনগুলোকে হিসেবে ধরা হবে! অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এসব দেশের সঙ্গে খেলা হলে পাঁচদিন তো বটেই, যাতায়াতের টাইম মিলায়ে ৭-৮ দিন টেস্ট খেলতে পারবে বাংলাদেশ।

৩# ব্যাটিং করতে নামলেই বাংলাদেশ দলের পটাপট উইকেট গিয়ে পাঁচদিনের টেস্ট তিনদিনে শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মানে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে দিলেই যত ঝামেলা! পাঁচদিন খেলা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের ব্যাটিংই করার দরকার নাই। চার ইনিংসই প্রতিপক্ষ দল ব্যাটিং করবে। বাংলাদেশ শুধু বোলিং করবে। এতে পাঁচদিন খেলা যাবে অনায়াসেই!

৪# টেস্ট ম্যাচে টি-ব্রেক, লাঞ্চ ব্রেকের সাথেই সাথেই খেলোয়াড়রা আবার মাঠে নেমে যায়। এটা চরম অমানবিক ব্যাপার। প্রতিটা টি-ব্রেকের পর আধাঘণ্টা আয়েশ ব্রেক, আধাঘণ্টা সিগারেট ব্রেক আর লাঞ্চের আগে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আধাঘণ্টা খাওয়ার প্রস্তুতি, লাঞ্চের পরে ২ ঘণ্টা ভাতঘুম ব্রেক ও ১ ঘন্টা ‘লাঞ্চ ডান’ পোস্টের জন্য ফেসবুকিং ব্রেকের সিস্টেম চালু করলেই পাঁচদিন অনায়াসে খেলা যাবে!

৫# বলা হয়ে থাকে, টেস্টের উইকেট অনেক দামি। এত দামি একটা জিনিস বিদায় নেয়ার পরে শোক প্রকাশের জন্য কোন সময় দেয়া হয় না! এইটাও অমানবিক ব্যাপার। টেস্টে প্রতিটা উইকেট যাওয়ার পরে আর কোন দেশকে না হোক অন্তত বাংলাদেশকে শোক কাটিয়ে উঠার জন্য আধাঘণ্টা করে সময় দেয়া উচিত। তাতেও যদি পাঁচদিন খেলতে না পারে তাহলে শোক কাটানোর জন্য আধাঘণ্টা ও প্রতিপক্ষ দলকে আনন্দ উদযাপনের জন্য আধাঘণ্টা, প্রতিটা উইকেট যাওয়ার পরে টোটাল ১ ঘণ্টা অনুভূতি উদযাপনের সময় দিতে হবে। এই সিস্টেমে ১০ দিন ধরেও টেস্ট খেলা সম্ভব।

৬# পাঁচ দিনের আগে মাঠের টেস্ট শেষ হয়ে গেলে এরপর শুরু হবে অনলাইন টেস্ট! দুপক্ষই হোটেল রুমে বসে বসে মোবাইলে বা প্লে স্টেশন রিয়েল ক্রিকেট, স্টিক ক্রিকেট বা সিডব্লিউসি নতুন ভার্সনে অনলাইন ক্রিকেট খেলবে। যদ্দিন খেলতে মন চায়, তদ্দিন খেলা যাবে, কোনো প্যারা নাই।

৭# সারাদিন কিসের খেলা? খেলা হবে এক বেলা! হয় সকালে, নইলে বিকেলে, নইলে রাতে। বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলার এই নতুন নিয়ম চালু করলে টেস্টে প্রতিদিনের নির্ধারিত ৯০ ওভার টুপ করে ৪৫ ওভারে নেমে আসবে। ফলে বাংলাদেশের পাঁচদিন মাঠে টিকে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

৮# বাংলাদেশ টিমের জন্য টেস্টের আগে আলাদা করে কোন প্র্যাকটিস সেশন রাখার দরকার নাই! প্র্যাকটিস, ম্যাচ, কন্ডিশনিং ক্যাম্প সবই টেস্টের জন্য নির্ধারিত পাঁচদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে পাঁচদিনের মধ্যে শেষ করার জন্য বাংলাদেশ টিমকে কড়া নির্দেশ দেয়া হবে।

৯# ব্যাটের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হবে স্ট্যাম্পের চেয়ে বেশি। তারপর বাংলাদেশ দলই নামুক বা যে-ই ব্যাটিং করতে নামুক, আউট করাই যাবে না। ব্যাটসম্যানরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে। পাঁচদিন কি, দশদিনের টেস্টও খেলা যেতে পারে এইভাবে।

১০# জেলখানায় যেমন সময়ের হিসাব আলাদা, স্টেডিয়ামেও সেরকম আলাদা হিসাবের ঘড়ি চালু করা যেতে পারে। ১ ঘন্টায় ১ দিন, এমন একটা সিস্টেম করা গেলে বাংলাদেশ শুধু পাঁচদিন টেস্ট খেলতে পারবে এমন না, পাঁচদিন ধরে ব্যাট করে ইনিংস ডিক্লেয়ারও দিতে পারবে!

১০৩৫ পঠিত ... ২১:৫৪, নভেম্বর ২৬, ২০১৯

Top