আজ ৫ আগস্ট। সইরাচারী আওয়ামী ইতিহাসের সেই কালো দিন। একবছর আগে এই দিনে গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালান শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ নেতারা। স্বৈরাচার পতনের এই দিনে যখন বাংলাদেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে 'স্বৈরাচার মুক্ত দিবস', তখন ভিন্ন এক আবহে দিল্লী, কলকাতা, নিউইয়র্কসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হচ্ছে 'ক্ষমতা হারানোর বেদনা দিবস'।
দিল্লীর লাজপত নগরের একটি হোটেল বক্সে বসে আয়োজিত হয়েছে ‘ক্ষমতা হারানোর বেদনায় গণকান্না’ অনুষ্ঠান। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন— কেউ বলছেন, হায়রে আমার সোনার ডিম পাড়া হাঁস, আরেকজন কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে উঠলেন, আমারও একটা প্রকল্প ছিলো, সেটা ফেলেই চলে আসলাম।
এছাড়া কলকাতার পার্ক সার্কাসে আয়োজন করা হয়েছে দুই পর্বের নাটক:
প্রথম নাটক ‘ডামি পলায়ন’— যেখানে নেতারা পাসপোর্ট হাতে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার মহড়া দেন।
দ্বিতীয় নাটক ‘অপরাধটা কী আমার?’—এখানে প্রতিটি চরিত্র নিজের নির্দোষিতা প্রমাণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, শেষে থানা থেকে চিরকুট আসে: জানার কোনো দরকার নেই!
এদিকে নিউইয়র্কে এক অন্যরকম আয়োজন। ‘ক্ষমতা হারানোর মানসিক ভার’ কাটাতে আয়োজিত হয়েছে বিশেষ 'লালপানি উৎসব'। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাসিনাপুত্র জয়, যিনি ভিডিও বার্তায় বলেন, ক্ষমতা গেলে গেছে, মনোবল যেন না যায়। Cheers!
নিউইয়র্ক টাইমসের এক ভুয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই দিনে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী এতই ভেঙে পড়েছেন যে গুগলে ‘How to make a coup from abroad’ সার্চ দিয়েছেন ৭৩ বার। তবে সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত আসে ‘Live from Delhi’ অনুষ্ঠানে। মানবতার আম্মু শেখ হাসিনা লাইভে এসে প্রথমেই বলেন, অপরাধটা কী আমার, কী দেইনি আমি বা আমার পরিবার বাংলাদেশকে। ভোটের দিন যাতে কষ্ট করে বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোট দিতে যেতে না হয় সেই ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। উন্নয়ন আর উন্নয়নের জোয়ারে দেশ যখন ভেসে যাচ্ছিলো তখন রাজাকারের বাচ্চারা আমার বাংলা সিনেমার মতো সাজানো-গোছানো ক্ষমতার সংসারটা ভেঙে দিল।’


