ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতার স্বীকৃতি পাচ্ছেন শাহরুখ খান—এই খবরে যেমন উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন বলিউডপ্রেমীরা, তেমনই চরম মনখারাপ নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন দিল্লির লুটিয়েন্সে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা।
নিজেকে ‘দক্ষ অভিনয়শিল্পী এবং প্রকৃত ভারত-ভক্ত’ দাবি করে হাসিনা বলেন, দিনের পর দিন নিজের জনগণের সামনে সংলাপ বলেছি, চোখে জল এনে কথা বলেছি, এমনকি মাঝেমধ্যে স্ক্রিপ্ট ছাড়াই ইম্প্রোভাইজ করেছি। অথচ এই অভিনয়ের এতটুকুও মূল্যায়ন করল না ভারত সরকার! এতদিন কী তবে বিনা পারিশ্রমিকে অভিনয় করলাম? পুরস্কার না পাওয়ার অভিমানে নিজের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে মিথিলার বিখ্যাত মিম ‘ও এখন তো আমি পুরনো হয়ে গেছি, তাই না?’ পোস্টও করেন হাসিনা।
এদিকে, ঘটনাটি হাসিনা পরিবারে ভীষণ অভিঘাত তৈরি করেছে। ক্ষোভে জ্বলতে জ্বলতে বিশেষ এক বোতলের লাল পানি গলাধঃকরণ করে ফেসবুক লাইভে আসেন শেখ হাসিনাপুত্র জয়। ভিডিওতে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে তিনি বলেন, যে দেশের জন্য আমার মা দিনের পর দিন নিজের স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে সার্ভিস দিয়ে গেলেন, সেই দেশ কীভাবে দুইদিনের ছেলে শাহরুখকে পুরস্কার দেয়? এখন ভারতের জনগণের কী হবে সেটা আমার মা, আমার কিংবা আমার পরিবারের কারও দেখার বিষয় না। আমরা এখন শুধু নেপালের জনগণ নিয়ে ভাবব।
ভারতে থাকা আওয়ামী লীগ পলাতক শাখার এক মুখপাত্র অবশ্য জানান, দরকার নাই এসব ভারতীয় পুরস্কারের, আমাদের আপার স্বজন হারানোর বেদনা অস্কার কিংবা কান লেভেলের অভিনয়। আমরা ইতিমধ্যেই আপার নাম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য অস্কার এবং কান জুরি কমিটির কাছে পাঠিয়েছি। নোবেল না পেলেও এই দুটো পুরস্কারের একটা আপাকে আমরা পাইয়েই ছাড়ব। তবে আওয়ামী লীগ পলাতক শাখার কিছু নেতাকর্মী শেখ হাসিনার অভিনয়ের স্বীকৃতি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে দিল্লীর রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। মিছিল করার সময় ‘শাহরুখের চামড়া তুলে নিবো আমরা’ স্লোগান দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়, পরে তারা জার জার ওবস্তান থেকে পালিয়ে যান।


