বাঙালীর নতুন রাজনৈতিক কালাচারের সুচনা করেছে আওয়ামী লীগ, স্ট্র্যাটেজির সাথে সফলভাবে পালানো। পালানো এখন শুধু কৌশল নয়, একটি সংস্কৃতি। অন্তত এমনটাই মনে করছেন দেশের পলাতক আওয়ামী নেতারা।
গতবছর আন্দোলনের শুরুতে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বক্তব্য দিয়ে অহমিকা করা হাসিনা ৫ আগস্ট হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান। এর ঠিক এক বছর পর, ২ আগস্ট, সকাল থেকেই মতিঝিলের শত শত মানুষ Flight Expert নামের ট্রাভেল এজেন্সির সামনে ভিড় করেন। কারণ তাদের বুক করা টিকিট, ভিসা প্রসেসিং ফি ও সুপার অফার-এর টাকা গায়েব। অফিসে তালা, ফোন বন্ধ, ওয়েবসাইট উধাও। প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেইজে সর্বশেষ পোস্টটিতে লেখা, Catch me if you can.
এই নাটকীয় ঘটনার পর পলাতক আওয়ামী নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে Flight Expert-কে তাদের সংস্কৃতির বছরপুর্তিতে এমন পালানোর সংসস্কৃতি বজায়ে রাখার জন্যে ধন্যবাদ জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন সফলভাবে পালানোই রাজনীতির চূড়ান্ত স্তর। It’s not a failure, It’s a strategy.
লন্ডনে অবস্থানরত সাবেক এক মন্ত্রী এক্সক্লুসিভ মন্তব্যে বলেন, আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম, শুধু আমরা পারি পালাতে। কিন্তু Flight Expert দেখিয়েছে, বেসরকারি খাতেও এই স্কিল এখন জাতীয় পর্যায়ে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, Flight Expert-এর CEO পালানোর আগেই শেখ হাসিনার ফ্লাইট রুট অনুপ্রেরণা হিসেবে গবেষণা করেছেন। কিছু গ্রাহকের দাবি, গত সপ্তাহে এজেন্সির অভ্যন্তরে একটি দেয়ালে লেখা দেখা গেছে—Hasina Flew First, We Just Followed.
বনানীর এক গ্রাহক রুবিনা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার কানাডার টিকিট কনফার্ম ছিলো। এখন দেখি ওরাও পালাইছে, নেত্রীও পালাইছে। মনে হয় দেশটাই এখন একটা ডিপারচার লাউঞ্জ।
শোনা যাচ্ছে, জনগণের টাকা নিয়ে সফল্ভাবে পালানো মানুষদের লন্ডনে সংবর্ধনা এবং পুরস্কিত করার কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামীলীগ, যাতে করে পালানোর এই হাসিনা স্ট্র্যাটেজি ফলো করে সবাই এটিকে একটি পুর্ণ সংস্কৃতি হিসেবে স্টাব্লিশ করে।