গত কয়েক মাসে মব নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর, অবশেষে অন্তরবর্তীকালীন সরকার হাল ছেড়ে দিলেও মেনে নিতে পারেননি নিধিরাম সর্দার। ঢাল-তলোয়ার ছাড়া কীভাবে মবকে কন্ট্রোলে রাখা যায় সেটি শেখাতে তিনিই এবার বিশেষ প্রশিক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে আসছেন।
সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদেরকে অনেকেই ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দার বলছেন। কিন্তু আমরা তো এই শিল্পে নবাগত—এই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খাওয়ার অভিজ্ঞতাটাই আমাদের অর্জন। তাই প্রশাসনে থাকা লোকজন যাতে সত্যিকার অর্থেই একেকজন নিধিরাম সর্দার হয়ে উঠতে পারেন, সে লক্ষ্যে এবার আমরা আসল নিধিরামকেই হায়ার করে আনছি।
নিজ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে নিধিরাম জানান, অনেকদিন ধরেই আপনাদের সরকারের সাথে কাজ করতে মুখিয়ে ছিলাম, কিন্তু কেউ আমাকে ডাকেই না। অবশেষে আমার আশাটি ফুরোলো, আর নটে গাছটি মুরোলো। ঢাল-তলোয়ার বিহীন প্রতিরোধকে আপনারা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। আশা করছি শেখানোর পাশাপাশি আমি নিজেও শিখতে পারব—বিশেষ করে কীভাবে দায় এড়িয়ে বীরোচিত বিবৃতি দিতে হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে নিধিরাম সর্দারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে একটি করে ‘অদৃশ্য ঢাল’ ও ‘বেপরোয়া নিশ্চুপ থাকার সার্টিফিকেট’ প্রদান করা হবে, যা তারা ভবিষ্যতে যেকোনো মবের সামনে proudly ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। এসব ঢালের বিশেষত্ব হলো—দেখা যাবে না, কাজও করবে না, কিন্তু মনোবলে অভাব হবে না। পাশাপাশি কোনো সহিংস ঘটনার পর সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তারা নির্ভার কণ্ঠে বলতে পারবেন, দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। সরকার আশাবাদী—এই প্রশিক্ষণ শেষে প্রশাসনের প্রতিটি সদস্য একেকজন নিধিরাম সর্দারে পরিণত হবেন।