নাসার সাথে আর্টেমিস অ্যাকর্ডস চুক্তি স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশের মহাকাশযাত্রায় যোগ হলো এক নতুন পালক। অনেকেই মনে করছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। কিন্তু অন্য একদল মহাকাশপ্রেমী বলছেন, ইতিহাস নয়, এবার শুরু হতে যাচ্ছে ‘ছাত্তলীগ স্পেস মিশন-২০২৫’
এর আগে বাংলাদেশে মহাকাশ নিয়ে একক আধিপত্যের ঘোষণা দিয়েছিল নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্তলীগের দুই বেতাজ বাদশা—সাদ্দাম ও ইনান। কালো পাঞ্জাবি পরে এক প্রেস কনফারেন্সে তারা বলেছিলেন, ‘যেভাবে ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াই, ঠিক সেভাবেই একদিন মহাকাশও দাপিয়ে বেড়াবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেইদিন বেশি দূরে নয়!
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই ঘোষণার কিছুদিন পর, গত ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে দাপিয়ে সীমান্ত পার হয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ইনান ও সাদ্দাম খবর পেয়েই হাল্কা ঘামতে ঘামতে তাদের মহাকাশ মিশনের সব পোস্ট ডিলিট করে সীমান্তের দিকে হাঁটা ধরেন। মহাকাশের স্বপ্ন তখন তারা বুক পকেটে পুরে কাঁধে ব্যাগ আর মুখে মাস্ক পরে গোপনে দেশ ছাড়েন।
সম্প্রতি ইউরোপের একটি অজ্ঞাতনামা হোস্টেলে বসে তারা আবার মুখ খুলেছেন। জানালেন—এই মহাকাশ মিশন তারা ছাড়ছেন না। তবে এবার তারা শেখ হাসিনাকে নয়, মহাকাশযাত্রার ক্যাপ্টেন হিসেবে চাইছেন আশিক চৌধুরীকে।
আশিক ভাই সেই লেভেলের লিডার। উনি একটা মিটিংয়ে একবার জুমে ৪২ মিনিট চুপ করে ছিলেন—ওইখানেই আমরা বুঝে গেছিলাম, উনার মধ্যে গভীরতা আছে। মহাকাশের মত গভীর জিনিস উনিই সামলাতে পারবেন—বললেন ইনান।
সাদ্দাম যোগ করে বলেন, আপা আপাতত দিল্লিতে, মহাকাশে ওনার আসা টাইম লাগবে। আমরা ভাবছি, আগে আশিক ভাইরে নিয়া একটু মহাকাশ সাফসুতরো করি, পরে আপারে রিসিভ করবো।
এই দুই নেতা জানিয়েছেন, মহাকাশে পৌঁছে তারা প্রথমেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট জেয়ারত করবেন, সেখানে কিছু দোয়া-দুরুদ পাঠ করবেন এবং ‘স্যাটেলাইট মারফত’ জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক কমিটি পুনর্গঠন করবেন। এরপর যাবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে, যেখানে তারা প্রথম মহাকাশীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চান।
ইনানের ভাষায়, আমরা চাই, একদম স্বচ্ছ নির্বাচন। তবে ইলেকট্রনিক ব্যালট ব্যবহার হবে যাতে হ্যাক করা যায়—মানে নিরাপদ থাকে।
সাদ্দাম আরও জানান, ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখতে চান ‘বঙ্গবন্ধু স্পেস কমপ্লেক্স’। সেখানেই ইউনুস সরকারের নামে একটি মহাকাশ আদালত গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু করবেন তারা।
‘যে অপরাধীরা পৃথিবীতে বিচারের আওতায় আসেনি, আমরা তাদের বিচার করবো গ্র্যাভিটি-ফ্রি পরিবেশে, যাতে কেউ পালাতে না পারে,’ বললেন সাদ্দাম।
তবে এই মিশনের জন্য প্রয়োজন হবে এক বিশেষ ধরনের রকেট, যার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে—বজ্রযান-৭৫। এই রকেটটি চালানোর দায়িত্বে থাকবেন সাবেক এক হল ম্যানেজার এবং দুজন দোতলা ক্যান্টিনের চা-ওয়ালা, যাদের মহাকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলার অভিজ্ঞতা আছে।
সবশেষে ইনান বলেন, আমরা যদি এই মিশনে সফল হই, ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে একটি ডরমিটরি বানাবো, যেখানে এক্সপেল্ড ছাত্রনেতারা নতুন করে জীবন শুরু করতে পারবেন।