চলছে বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫। বিডা ও বেজার প্রধান নির্বাহী আশিক চৌধুরীর প্রেজেন্টেশনের প্রশংসায় নেটিজেনরা পঞ্চমুখ হলেও খুশি হতে পারেননি কেউ কেউ। তাদের মতে, এই প্রেজেন্টেশনে কিছু একটা নেই। আরও স্পেসিফিক্যালি, কোনোকিছুর অভাবের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন গবেষকরা।
কিন্তু কী নেই ?
সম্মেলনের লাইভ চলাকালীন এক পর্যায়ে দেখা যান ড. ইউনূস বক্তৃতা দেবার জন্য স্টেজে উঠছেন। আশিক চৌধুরী হাত ফোল্ড করে দাঁড়িয়ে আছেন মঞ্চের কোণায়। তিনি ইউনূসের পা ধরে কদমবুসি করলেন না, গদগদ হয়ে কোলাকুলি করলেন না, বিহবল হয়ে হাতও মেলালেন না। স্রেফ দাঁড়িয়ে রইলেন। এটা কি একজন মাননীয় সরকার প্রধানের প্রতি স্বাভাবিক আচরণ?
অনেকেই আবার আঙুল তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার দিকেও। একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি আসলেন, অথচ হোস্টকে কোনো সালামি দিলেন না, মিষ্টি করে আসলেন না-এ কি যথেষ্ট বাৎসল্যপরায়ণতার অভাব? সরকারপ্রধান হবার অন্যতম শর্ত হলো তাকে হতে হবে মমতাময়। ড ইউনূস মমতাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ।
এদিকে আমাদের সাবেক ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী সজীব ওয়াহেদ জয় এক কাল্পনিক মাধ্যমে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, আশিকের প্রেজেন্টেশন খুবই মিডিওকার। এরকম প্রেজেন্টেশন আমি সকাল সন্ধ্যা দুইবার করে দেই। শুধু তাই না, আমার হিন্দিতে দেওয়া প্রেজেন্টেশনটিও পপুলার পডকাস্টের তালিকার শীর্ষে আছে। আশিককে আমার লেভেলে পৌঁছতে হলে ওকে হিন্দিতেও পারফর্ম্যান্স দিতে হবে, ওবায়েদুল কাদেরের মতো ছন্দ বানানো শিখতে হবে, লাল চোখে কথা বলতে হবে। এছাড়া আমার মতো জনপ্রিয় হওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আশিক চৌধুরী যেহেতু এখনো বয়সে ছোটোই আছেন, তাকে গ্রুমিং করার মতো সময় আমাদের আছে। আশিক চাইলে তাকে আমি সপ্তাহে তিনদিন হিন্দি ও দুইদিন ইংরেজি প্রেজেন্টেশনের কোর্স করাতে পারি। এমনিতেও আমি ক্লাস-টাস নেই তবে সাধারণত কাউকে কোনো ডিসকাউন্ট দেই না, কিন্তু আশিকের জন্য ১০% ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা আছে।