প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে স্বামীরা তাদের স্ত্রীর ধমক শুনে যাচ্ছেন শাড়ির কুঁচি ঠিকভাবে ধরতে না পারার অক্ষমতার কারণে। তাই স্ত্রীর কুঁচি ধরা শিখতে ব্যাংকক যেতে চায় নিখিল বাংলা স্বামী সংঘের ৩০০ সদস্য।
স্বামী সংঘের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে সংঘের সভাপতি বলেন, ‘শাড়ির কুঁচি সোজা করতে গিয়ে আমি তো ঝাড়ি খেয়েছি, আমার আব্বাও খেয়েছিলেন, দাদাও খেয়েছিলেন, খেয়েছিলেন আমার দাদার দাদাও। কিন্তু প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই সংস্কৃতিকে বদলাবো আমরা। নিজেরা শিখে এসে শেখাবো আমাদের ছেলেদের, যাতে তারাও গর্ব ভরে, ধমক ছাড়া শাড়ির কুঁচি ধরে দেখিয়ে দিতে পারে তাদের বউদের।’
এদিকে স্বামী সংঘের এই সফর নিয়ে অগাধ আত্মবিশ্বাস থাকলেও তাদের ওপর মোটেও ভরসা করতে পারছেন না স্বামী সংঘের জেনারেল সেক্রেটারি রুহুল হকের স্ত্রী রুমানা হক। তিনি eআরকিকে বলেন, ‘তারা যাচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু যারা শেখাবে তারা নিজেরা শাড়ির কুঁচি ধরতে জানে তো? গত ২৫ বছরে আমার ইনস্ট্রাকশনে কোনো কাজ হইলো না, আর সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সাদা মহিলা মানুষরা তাদের এসব শেখাবে? তারা নিজেরা শাড়ি পরতে জানে নাকি!’
এদিকে বাংলাদেশি এক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ৯৭% পুরুষ মনে করেন শাড়ির কুঁচি ধরার চাইতে বসের কাছ থেকে ছুটি পাওয়া সোজা।
এদিকে প্রেমিকদেরও কেন এই সফরে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না–জানতে চায় গার্লফ্রেন্ড অ্যান্ড সোসাইটির সভাপতি নিশি জামান। তিনি জানান, ‘শুধু স্বামীরা নন, প্রেমিকরাও তাদের প্রেমিকাদের প্রতিনিয়ত হতাশ করে আসছে তাদের প্রেমিকার শাড়ির কুঁচি ঠিকভাবে ধরতে না পারায় ব্যর্থ হওয়ার মাধ্যমে। আমার দাবী, এ সফরে স্বামীদের পাশাপাশি প্রেমিকদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থাও করা হোক অতিসত্ত্বর।’
এদিকে এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে চিত্রনায়িকা বর্ষা বলেন, ‘অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের কাজ, সেই অনন্ত জলিলও শাড়ির কুঁচি ধরতে জানে না।‘ তিনি আরও বলেন, ‘এটা হচ্ছে অরেজ জুস, আর এটা হচ্ছে অরেজ গাছ।’