আলিয়া ভাট আর রণবীর কাপুরের বিয়ে এই মুহূর্তে টাউনের সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। কিন্তু তারচেয়ে আলোচ্য বিষয় মাত্র ২৮ জনকে নিয়ে কিভাবে বিয়ে করতে পারলো এতো বড় নায়ক-নায়িকা! এই বিষয়ে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বলেন, ‘আঁরার কাজর ফুয়ার বিয়াত এত্তুন বিশগুণ বেশি মাইনসরে দাওয়াত দি’।
এ নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। এত অল্প সংখ্যক মানুষ দাওয়াত দেওয়ায় বেশ কষ্ট পেয়েছেন অনেক ভক্ত অনুসারীই। অনেকের ক্ষেত্রেই আবার কষ্টটুকু গড়িয়ে রুপান্তর হয়েছে ক্ষুব্ধতায়। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী শামছুদ্দিন মোল্লা (৫০) নামের একজন বলেন, ‘ইতারা বইঙ্গা ত। বইঙ্গা অক্কলর হথা আর কি কইয়ুম? মাত্র ২৮ জনরে দাওয়াত দিয়ি, এগিন বিশ্বাস করন যায়? আঁর ফুয়ার খতনাত দাবাত দিলাম যেঁ পাঁচশো মাইনসেরে, কিন্তু আইসসেদে সাড়ে আটশশো জন।' এমন বিপর্যয়ে রণবীরের ফুফা, খালুদের জন্য বেশ আফসোস করে তিনি বলেন, 'রনবীরের ফুপারে যদি দাওয়াত দিতো ইতে রনবীরের বিয়াত উকগ্যা ছল উপহার দিত।'
অন্যদিকে পাঁচলাইশের গৃহিনী আলিয়া আহমেদ বলেন, 'রনবীর উকগ্যা ব্যাডা ফুয়া অইয়ারেও এগিন ক্যান গরি মানি লইয়ি? আলিয়া ভাটর ফ্যামিলি ফার্নিচার দিয়ে কিনা ন জানি। গরমকাল চলের, ট্রাকত গরি ফলও ন দে হুনিলাম। আর ইফতারর হথা আর ন হইলাম। খালি নায়ক -নায়িকা অইলে ন। ফরান থাকন ফরে।'
শুধু ইনারা নয়, পুরো বিয়ে নিয়ে চট্টগ্রামে বিরাজ করছে শোক। এভাবে ২৮জন লোক নিয়ে একটা বিয়ে কীভাবে এই বিষয়ে চট্টগ্রামবাসীর বিষ্ময় যেন কাটছেই না। সদ্য শ্বাশুড়ি হওয়া চকবাজারের খায়রুন্নাহার জুঁই বলেন, 'কেইর হথা ন ভাবে, কেইরে দাবাত ন দে। মাংস ইদ্ধ অয়ে না, কালাভুনা কালা অয়ে না, কার গর রং হালা, কার ধলা এগিন আলোচনা যে বিয়াত নয় ইয়ান আবার কন ডইল্যা বিয়া? ভাইগ্য ভালা রনবীর- আলিয়া চিটাঙর মানুষ ন। চিটাঙর মানুষ অইলে শরমে আঁরা মুখ দেখাইত ন ফাইরতাম।'
এদিকে eআরকির চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, আন্দরকিল্লার রহমান নামের এক লোক রণবীর আলিয়ার উপর রাগ করে ওনার ছেলের শশুরবাড়িতে ২৮০০ জনের একটা মেজবানির আয়োজন করেছেন। সবাইকে দাওয়াতও দিয়েছেন তিনি।
