বইমেলায় নকল হাজি বিরিয়ানি রাখার দাবি তুললো ফুডভ্লগার সমিতি

৩৫৫ পঠিত ... ১৯:১১, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
Hajir-biriyani
প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বইমেলা এবার এসেছে পনেরো দিন পর। কিন্তু আয়োজনের কোনো কমতি নেই। গুছানো স্টল, স্টলের সামনে লেখকদের সেলফি তোলার হিড়িক, পাঠক-পাঠিকাদের আড্ডা সব মিলিয়ে গত বছরগুলোর তুলনায় এবার মেলাটা জমে উঠেছে। তবে সব যে আশার খবর তা নয়, আছে কিছু দুঃখের ব্যাপারও। এক ফুডভ্লগার জানালেন, বইমেলায় প্রচুর খাবারের দোকান হয়েছে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখবেন কোনো নকল হাজির বিরিয়ানি নাই। আমরা তাহলে বইমেলায় এসে করবো কী?
 
সরেজমিনে ঘুরে ফুডভ্লগারের কথার সত্যতা পাওয়া গেলো। সত্যিই কোনো বিরিয়ানির দোকান নেই। এই বিষয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফুডভ্লগার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফসান দ্যা ছোট চাচ্চু বলেন, ‘হ্যালো গাইজ, দিস ইজ আফসান দ্যা ছোট চাচ্চু। আই থিংক উই নিড হাজি বিরিয়ানিস ইন বইমেলা। অ্যান্ড পয়েন্ট টু নোট দ্যাট, সেটা যেন নকল হয় বাণিজ্যমেলার মতো। কোনোভাবেই যেন হাফপ্লেট ২০০ টাকার কম না হয়। নকল হাজি বিরিয়ানি না থাকলে মেলা কি জমে? আমরা যাবো, ক্যামেরা ট্যামেরা দেখে মালিকেরা বসতে দিবে না। একটু গ্যাঞ্জাম করবো... এটাই তো ফুডভ্লগার লাইফের আনন্দ।হে হে হে...'
 
এই কথায় সহমত পোষণ করেন সমিতির বাকি সদস্যরাও। এছাড়াও 'ক্ষুধা লাগেনাই' নামে এক বিখ্যাত তরুণী ভ্লগার জানান, 'বইমেলায় যাওয়ার জন্য একটা অকেশন লাগবে। শুধু বইমেলা আসলে আমার জন্য অকেশন না। বই নিয়ে প্যারা নাই, খাবার দোকান টোকান থাকলে যাওয়া যায়। জুসি, টেন্ডার, সফট বলার মতো খাবার এনে রাখেন, অবশ্যই আমরা যাবো....'
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উঠতি ফুড ভ্লগার এক অপ্রত্যাশিত উপায় বাতলে দেন বাকি ফুড ভ্লগারদের। তিনি জানান, বইয়ের সাথে রিলেট করে খাবার, কিংবা খাবারের সাথে রিলেট করে বই পড়তে পারলে ব্যাপারটি অসাধারণ হবে। যেমন, অমুক বই পড়তে পড়তে এই খাবার খেতে হবে। খাবারটি পাবেন অমুক স্টলে। কিংবা ‘বইয়ের সাথে আপনার খাবার যোগাড় করে নিন' এমন বিজ্ঞাপনও থাকতে পারে। ...এতে করে বই এবং খাবার দুটোরই কাটতি পড়বে। লাভ হবে লেখক এবং ফুড ভ্লগারেরও... '
 
এতে সহমত জানিয়েছেন সমিতির বাকি সদস্য ও জাতীয় বইমেলা কমিটি। এ প্রসঙ্গে জাতীয় বইমেলা কমিটির চেয়ারম্যান নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশের একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠী ফুডভ্লগিং এ যুক্ত। কিছুদিনের ভেতরই এ সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাদেরকে মেলামুখী করার দায়িত্ব আমাদেরই। এখন বইমেলাতে শুধু লেখক আর বই। পাঠকও তেমন নেই। ফুড ভ্লগাররা আসলে কিছু মানুষ অন্তত বাড়বে....!'
 
মেলায় হাজির বিরিয়ানি না থাকায় কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে এক ফুডভ্লগারকে। দেখা যায় একটি স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি একটি বই চিবুচ্ছেন আর বলছেন সফট, টিন্ডার এন্ড জুসি। 
 
 
 
 
Seen by কাসাফাদ্দৌজা নোমান at 6:48 PM
৩৫৫ পঠিত ... ১৯:১১, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২

Top