যুক্তরাষ্ট্র থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পর জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের তিন সদস্য করোনা পজেটিভ হয়েছে। গীতিকার সুগা, র্যাপার আরএম ও ভোকাল জিমিন এই মুহূর্তে কোয়ারেন্টিনে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে সারাবিশ্বের বিটিএস ফ্যানদের মত বাংলাদেশি বিটিএস ভক্তরাও অনেক চিন্তিত। ইতোমধ্যে ব্যান্ডের সদস্যদের রোগমুক্তির জন্য নানারকম আয়োজনও শুরু করেছে বাংলাদেশের বিটিএস আর্মি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিলাদ, বিটিএস আর্মির অজ্ঞাত হেডকোয়ার্টারে দোয়া মাহফিল, কাঙ্গালিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বিটিএস আর্মির হেডকোয়াটার থেকে একটি গায়েবি সূত্র থেকে এমনটা নিশ্চিত হয়েছে eআরকি।
ইতোমধ্যে মিলাদের জন্য জিলাপি অর্ডার করা হয়ে গেছে, থাকবে হালুয়া-রুটিও। বিটিএস আর্মি সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি জিলাপির মধ্যে জিমিনসহ আক্রান্ত সবার নাম লেখা থাকবে। পাশাপাশি অনেকে বিভিন্ন মাজারে রয়েল বেঙ্গল জাতের ছাগলও মানত করে রেখেছে।
সূত্রটির মারফত বিটিএস আর্মির এক মেজর জেনারেল হৃদিতার সাথে কথা বলি আমরা। শুরুতে কান্নার জন্য আধাঘণ্টা কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। আধাঘণ্টা পর কান্না থামিয়ে তিনি আবারো কান্না শুরু করেন। এরপর অনেক কষ্টে কান্না থামিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কী করবো! ওদের কিছু হয়ে গেলে আমাদের কী হবে! আমরা কী নিয়ে বাঁচবো।’ এটুকু বলেই মুখে ওড়না দিয়ে তিনি আবারো কান্না শুরু করেন।
ব্যান্ডের সদস্যদের এমন বিপর্যয়ের জন্য অনেকে আমেরিকা সরকারকে দায়ী করছেন। আমেরিকার প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে একজন বলেন, ‘আমার জিমিনের যদি কিছু হয়ে যায় ওই ট্রাম্পকে কেউ বাঁচাতে পারবে না সারা বিশ্বের সকল বিটিএস আর্মি মিলে ওদের উপর অ্যাটাক করবো। ওরা আমাদের পাওয়ার সম্পর্কে এখনো জানে না। এবার বুঝবে কোথায় হাত দিয়েছে।’
আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প না, জো বাইডেন। এটা মনে করিয়ে দিলে অন্য একজন বলেন, ‘সে যেই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
চলে আসার সময় হেডচকোয়াটারে এক কোনে গড়াগড়ি করে কান্না করতে থাকা একজনের সাথে কথা বলি আমরা। আমাদের দেখেই বিলাপ করতে থাকেন তিনি। বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আল্লাহ গো, আমার জিমিনের করোনা তুমি আমাকে দিয়ে দাও, তবু ওকে ভালো করে দাও।’