আগামী মৌসুমে কাকতাড়ুয়ার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি-তাড়ুয়া বানাবেন কৃষকরা

২৯৯ পঠিত ... ১৭:৩৭, জানুয়ারি ১১, ২০২২

Photographer-tarua

ঢাকা শহরে কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশি হলেও গ্রামে কৃষি জমিতে বর্তমানে কাকের চেয়ে ফটোগ্রাফারের সংখ্যা বেশি। বিষয়টি নিয়ে নানারকম সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছে কৃষকরা। এই সমস্যার সমাধানে কাকতাড়ুয়ার মতো ফটোগ্রাফি-তাড়ুয়াও বানানোর কথা ভাবছেন তারা।      

বিষয়টি নিয়ে জামালপুরের এক সরিষা চাষী জানান, প্রতিবছর ফটোগ্রাফাররা জমির এক তৃতীয়াংশ ফসল নষ্ট করে। ফলে বছর শেষে বেশ লোকসানের মুখে পড়েন তারা। ২৪ ঘণ্টা ঝাড়ু হাতে দাঁড়িয়ে থেকে তাড়ানোও সম্ভব না। সেজন্যই এমন আধুনিক পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন তারা। ই-ফটোগ্রাফি তাড়ুয়ার জন্য ইতোমধ্যে টেসলার সাথেও যোগাযোগ করছেন তারা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণ কাকতাড়ুয়ার ফটোগ্রাফারদের তাড়ানো যায় না। আমি নিজেই ঝাড়ু হাতে দৌড়ে পারি না। সেজন্য এমন আধুনিক সিস্টেম। ঝাড়ু হাতে নিয়ে এই ই-ফটোগ্রাফি তাড়ুয়া একদম সই করে ঝাড়ু মারতে পারবে।’

ফটোগ্রাফারদের উপর নানা কারণে ক্ষুব্ধ কৃষকরা। শুধু ক্ষেতের আইলে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেও মানা যেত। কিন্তু অনেকে ক্ষেতের মাঝে গিয়ে শুয়ে তোলে। কেউ কেউ একটু গড়াগড়ি করে ভিডিও করে। এসব কারণে ক্ষুব্ধ এক কৃষক বলেন, ‘ওদের বাসায় কি বিছানা নাই? তুই ছবি তুলবি তোর বিছানায় তোল, আমার ক্ষেতে কী? আর ক্ষেতে না আইসা এডিট করলেও তো পারিস। আজকাল বিএফএক্স না কী কী দিয়া জানি রিয়েল সিন বানায়। অশিক্ষিতের দল এগুলা জানে না?’

ক্ষুব্ধ অন্য এক কৃষক বলেন, ‘খাবে সয়াবিন তেল আর ফটো তুলবে সরিষা ক্ষেতে এসে। নিমকহারাম এক একটা। তুই কী শাহরুখ খান নাকি যে সরিষা ক্ষেতে এসে ছবি তুলবি! তুমি থাকিস শহরে, তুই ছবি তুলবি ময়লার লগে। তোদের ঢাকা যে দূষিত শহরে নাম্বার ওয়ান হলো, কই আমরা তো সেখানে ধুলার সাথে ছবি তুলতে যাই নাই! তুই ক্যান আসবি।’

নতুন প্রজন্মের অনেক তরুণ কৃষকের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ যদিও কিছুটা ভিন্ন। এমনই একজন বলেন, ‘টানা ৩ বছর সিঙ্গেল, একটা প্রেম করতে পারি না। আর তোরা প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে এসে আমার ক্ষেতে ছবি তুলিস। ক্যামনটা লাগে কন ভাই!’

২৯৯ পঠিত ... ১৭:৩৭, জানুয়ারি ১১, ২০২২

Top