মানুষের জীবনে সাফল্যের সংজ্ঞা নানাবিধ। কারো কাছে কোটি টাকা মানে সাফল্য, কারো কাছে বস্তা সার্টিফিকেট মানে সাফল্য, কারো কাছে ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট মানেই সাফল্য। তবে এবার সফলতার ভিন্নরূপ দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন ঢাকার রাসয়াত রহমান জিকো। সম্প্রতি তার ফেসবুক আইডি ভেরিফাই হওয়া উপলক্ষে প্রায় ১০০০ মানুষের জন্য কাঙালি ভোজের আয়োজন করেছেন, এমনই এক সম্পূর্ণ ভূয়া তথ্য জানিয়েছেন eআরকি প্রতিনিধি আজিজ।
এ ব্যাপারে জিকোর সাথে আলাপচারিতার সময় তিনি বলেন, 'ছোটবেলা থেকে সবাই যখন জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবতো, আমি ভাবতাম ফেসবুক নিয়ে। আমার জীবনের লক্ষ্যই ছিলো ফেসবুকে নীল ব্যাজ পাওয়া। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলছিলেন, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। এইযে দেখুন, আমি আজ ব্লু ব্যাজধারী৷ এরজন্য আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। কখনো হোঁচট খেয়েছি, বাধাগ্রস্ত হয়েছি, কটু কথার সম্মুখীন হয়েছি, কিন্তু থেমে যাইনি। পুরো জার্নিটাতে আমার পরিবার আমাকে অনবরত সাহস দিয়ে গেছেন, তাঁদের অবদান আজ অনস্বীকার্য। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই...'
এ ব্যাপারে জিকোর ভাই রিকো বলেন, 'আজ দিনটি আমাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এলাকার মানুষের মুখে মুখে ভাইয়ার নাম। বেশ কয়েকটি বিলবোর্ডে ভাইয়া ছবি টানিয়েছে, সাইডে ছোট করে অবশ্য আমাকেও দেখা যাচ্ছে, ভাবতেই ভালো লাগছে সেলিব্রিটির ভাই। রাস্তায় বের হলেই লোকে আজ আমাকে চিনছে, ভাইয়ার ভ্যারিফাইড আইডির জন্য আমরাও সম্মান পাচ্ছি। ভীষণ গর্ববোধ হচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই ভাইয়ার উপর পূর্ণ বিশ্বাস ছিলো। জানতাম, ভাইয়া একদিন সফল হবেই...'
এদিকে তরুণ প্রজন্মকেও সাফল্যমণ্ডিত করতে জিকো বেশ কিছু মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিতে চাই, সময় নষ্ট কোরো না। সময়, নদীর স্রোত, এবং ফেসবুক কারো জন্য অপেক্ষা করে না। যতটুকু পারো ফেসবুকে সময় দাও। নিয়মিত ১২-১৮ ঘণ্টা ফেসবুকে থাকার চেষ্টা করো। লেগে থাকো, বিজয় আসবেই....'
আনন্দের ব্যাপার এইযে, শীঘ্রই জিকো তার মোটিভেশনাল ইউটিউব চ্যানেল এবং ফাইভ মিনিটস স্কুলের সাথে কোলাবোরেশানে ‘How to get your ID verified’ নামক একটি কোর্স নিয়ে হাজির হচ্ছেন। আগ্রহী তরুণদের নিয়মিত খোঁজ রাখার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে...