বর্তমানের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রত্যেক ছাত্রকে পরীক্ষার আগে ফেসবুকসহ সকল সামাজিক মাধ্যমগুলো ডিএক্টিভেট করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একাধিক ফেক আইডি থেকে এমন ভূয়া বিজ্ঞপ্তিটি হাতে পেয়েছে eআরকি৷
হঠাৎ এ ধরনের প্রজ্ঞাপনে ভ্যাবাচেকা খেয়েছেন ছাত্র-শিক্ষক সকলেই। কেন এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি একটি ট্রেন্ড। সকল ট্রেন্ডই যে কেবল সাজগোজ কিংবা অন্যকিছু বিষয়ক হতে হবে, এমনটি নয়। এটি শিক্ষা সংক্রান্ত ট্রেন্ড। এক জরিপে দেখা গেছে , যেসব ছাত্র পরীক্ষার আগে ফেসবুক ডিএক্টিভেট করে তাদের রেজাল্ট যেসব ছাত্র করে না—তাদের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ ভালো হয়।
হুতুমপেঁচা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক গতকাল সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ' আমার স্কুলে নিয়ম করেই দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার আগে এক মাস ধরে ছাত্রদেরকে মনিটর করা হবে, যারা পরীক্ষার আগে আইডি ডিএক্টিভেট করবে না এরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না । অন রিকোয়েস্টে বসতে দেওয়া হলেও ২০% নাম্বার অটোমেটিক কমে যাবে। প্রোফাইল ঘেঁটে যদি দেখা যায় পরীক্ষার আগের এক মাসে প্রোফাইল পিকচার আপ্লোড করেছে— নাম্বার কমবে ৩০ শতাংশ, আর মিম শেয়ার করলে ৫০ শতাংশ । দেখেন, একটা ছাত্রের ফেসবুক আইডি দেখলেই বুঝা যায় সে কেমন পড়ালেখা করে, এক্ষেত্রেই আমরা তাদেরকে সিরিয়াসলি ধরতে চাচ্ছি…'
তবে এ ঘটনায় যারপরনাই নাখোশ হয়েছেন একদল বড় সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী। রবিন (১৪) নামের এক ছাত্র জানায়, ' ভাই , পরীক্ষার আগে মিম না দেইখ্যা গেলে আমার পরীক্ষা খারাপ হয় …অবশ্য ফেইক আইডি আছে আরো ১৬টা । একেক সময় একেকটাতে বসবো। তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই …'