এসএসসি পরীক্ষার হলেও নির্বাচনের মতো অ্যাসিস্ট্যান্ট পরীক্ষার্থী চায় শিক্ষার্থীরা

৫১৫ পঠিত ... ১৭:৩২, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য দুইদিন পিছিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থী। তবে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে হয়ে যাওয়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আবিষ্কৃত নতুন পদ অ্যাসিস্ট্যান্ট ভোটারের মতো পরীক্ষার হলে অ্যাসিস্ট্যান্ট পরীক্ষার্থী নিয়োগের দাবি তুলেছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ভোটারের চেয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট পরীক্ষার্থী গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় নিজেদের দাবির পক্ষে বেশ শক্ত যুক্তি তুলে ধরে চলমান শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীরা। তারা জানায়, 'ভোট দিতে যায় বড়রা, ভোট দিতে সময় ও শ্রমও লাগে কম। জাস্ট একটা টিপের ব্যাপার। এখানে যদি অ্যাসিস্ট্যান্ট ভোটার থাকতে পারে তাহলে আমাদের তিন ঘন্টার জীবন-মরণ ব্যাপারের জন্য কেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিক্ষার্থী থাকবে না? তাছাড়া বয়স বিবেচনায় আমরা এখনো শিশুই। একটা শিশু কীভাবে অ্যাসিস্ট্যান্ট পরীক্ষার্থী ছাড়া এত বড় একটি পরীক্ষা সম্পন্ন করবে?'

সরকারের কাছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের এই সুবিধাটা পাওনা আছে, এমনটা দাবি করে একজন বলে, 'সরকার কিন্তু আমাদের কাছে ঋণী। নির্বাচনের জন্য আমরা ২ দিন অপেক্ষা করে ছিলাম। এখন এই ঋণ শোধ করার জন্য হলেও নির্বাচন থেকে কিছু একটা আমাদেরকে দিতে হবে। আমরা তো ফলাফল চাইতেছি না, আমরা চাইতেছি জাস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট!'

অ্যাসিস্ট্যান্ট পরীক্ষার্থীদের খুব বেশি খাটাবেন না বলেও জানান তারা। একজন বলে, 'খুব বেশি না, অ্যাসিস্ট্যান্ট পরীক্ষার্থী জাস্ট আমাদের সাথে থাকবে। সমাজ, ধর্ম, বাংলা ইত্যাদি বেশি বেশি লেখা সাবজেক্টগুলোয় একটু লিখে আমাদের লেখা এগিয়ে দিবে আর বিজ্ঞান, গণিত, হিসাব বিজ্ঞান ও অর্থনীতির মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে আটকে যাওয়া সমীকরণের জট খুলে দিলেই হবে। ফিজিক্স কেমিস্ট্রি এইসবের সূত্রগুলা বলে দিলেই চলে।'

অ্যাসিস্ট্যান্ট পরীক্ষার্থী হিসেবে বাচ্চাদের নিয়োগ না দিয়ে হোম টিউটর ও কোচিংয়ের টিচারদের নিয়োগ দেয়ার পরামর্শও দেয়া হয় এই সভা থেকে।

এই বছরের পরীক্ষার প্রথম দিনেই সারাদেশের ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় (সূত্র-প্রথম আলো)। এক বিশেষ তার বার্তায় এইসব শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, 'আমরা এক তারিখে বাসা থেকে বের হইছিলাম। পরে শুনি সবাই বলাবলি করছে কারা নাকি অন্যের ভোট দিয়ে দিচ্ছে। আমরা ভেবেছি আমাদের পরীক্ষাও এভাবে কেউ না কেউ দিয়ে দিবে। এমন সরল বিশ্বাসে আমরা পরীক্ষা দিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

৫১৫ পঠিত ... ১৭:৩২, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০

Top